বহু নামী অভিনেতাই রয়েছেন, যাঁদের শুরুর দিনগুলি মোটেও মসৃণ ছিল না। স্টার কিড নয়, সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মাননি, বলিউডের এমন বহু অভিনেতাই রয়েছেন। তাঁদের মধ্যেই একটি নাম রাজ বব্বর। যিনি ‘ইনসাফ কা তারাজু’, ‘নিকাহ’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শুরুর দিনগুলির কথা বলেছেন রাজ বব্বর। যিনি কিনা একদিন মাত্র ১০০ টাকা নিয়ে স্বপ্নের শহর মুম্বইয়ে এসে পৌঁছেছিলেন।
রাজ বব্বর বলেন, তাঁকে পরিচালক প্রকাশ মেহরা 'নমক হালাল' ছবিতে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। বিগ বাজেটের সেই ছবিতে আসলে অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে অভিনয় করার কথা ছিল বিনোদ খান্নার। তবে বিনোদ খান্না অভিনয় দুনিয়া থেকে অবসর নেওয়ার কারণে, সেই ছবিতে জায়গা পেয়েছিলেন রাজ বব্বর। তাঁর কথায়, ‘ছবিতে তাঁকে নিয়ে খুশির থেকে বেশি আতঙ্কিতই ছিলেন পরিচালক প্রকাশ মেহরা। বিনোদ খান্না ছবি করতে না করলে দিলীপ কুমারকে ছবিতে নেওয়ার কথাও ভেবছিলেন পরিচালক, তবে সেটাও কার্যকর হয়নি।’ পরে তাঁকে কাস্ট করা হলে রাজ বব্বর পরিচালককে অনুরোধ করেন, 'আপনারা যখন আমায় এই ছবিতে নিয়েছেন, তখন অনুগ্রহ করে যদি এক বছরের জন্য থাকার জায়গা দেন, তাহলে কৃতজ্ঞ থাকব। তাঁরা আমায় একটা বিমানের টিকিট পাঠান, আর আমি মুম্বই চলে আসি।'
রাজ বব্বর বলেন, ‘আমার একটা স্কুটার ছিল, সেটা আমি বিক্রি করে দিই। তখন আমার সদ্য মেয়ে হয়েছে। স্কুটার বিক্রির টাকা স্ত্রীকে দিয়ে বলেছিলাম, আমি ১ বছরের জন্য মুম্বই যাচ্ছি। এরপর মাত্র ১০০ টাকা নিয়ে আমি মুম্বই চলে আসি। সবকিছু যখন ঠিকঠাক এগোচ্ছিল, তখনই আমায় নকম হালাল ছবি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। কারণ কেউ আমার সঙ্গে কাজ করতেই চাননি। আমি বলি প্রকাশজি আপনি বলেছিলেন আমায় ১ বছর এখানে থাকতে দেবেন। উনি সম্মত হন।’
খুব সম্ভবত, রাজ বব্বরের ওই চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন শশী কাপুর। এছাড়াও ‘নমক হালাল’ ছবিতে ছিলেন স্মিতা পাতিল, পারভিন ববি এবং ওয়াহিদা রহমান। প্রসঙ্গত পরিচালক প্রকাশ মেহরা ‘জঞ্জির’, ‘হেরা ফেরি’, ‘মুকাদ্দার কা সিকান্দার, ‘লাওয়ারিস’-এর মতো হিট ছবি বানিয়েছেন। তাঁর বহু হিট ছবিতেই প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন অমিতাভ বচ্চন। প্রসঙ্গত পরে 'শক্তি' ছবিতেও প্রথমে তাঁকে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েও সরিয়ে অমিতাভ বচ্চনকে নিয়েছিলেন নির্মাতারা।