চলতি বছরের শুরুতে সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছিল শ্রীজাতর প্রথম সিনেমা ‘মানবজমিন’। সে ছবি বক্স অফিসে ভালো ব্যবসা করতে না পারলেও, একটা কথা দিয়েছিল টিম মানবজমিন। ছবিতে মেয়েদের এক স্কুলের গল্প, পড়াশোনার জন্য তাদের লড়াই তুলে ধরা হয়েছিল। ছবির প্রচারের সময়েই মেদিনীপুরে একটি অবৈতনিক বিদ্যালয়ের শিলান্যাস করেছিলেন সমস্ত কলাকুশলীরা। আর বছর ঘোরার আগেই বিদ্যালয় তৈরির কাজ শেষের পথে। ‘মানবজমিন’-এর প্রযোজক রাণা সরকার জানালেন, পুজোর আগেই হয়তো উদ্বোধন হয়ে যাবে। আর কিছুদিনের মধ্যেই বিদ্যালয়ে এসে পঠন-পাঠন শুরু করতে পারবেন কচিকাচারা।
রাণার কথায়, ‘এই অঞ্চলে হাতির খুব উপদ্রব। বাড়ি থেকে বেরিয়ে বেশিদূর যেতে পারে না ওরা। ছবিতেও আমরা যেরকম দেখিয়েছিলাম অনেক সমস্যা নিয়ে পড়াশোনার জন্য লড়ছে কিছু মানুষ। সিনেমা চলুক না চলুক, সিনেমার যে সমাজবদলের একটা শক্তি আছে, সেটাই আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি। সিনেমায় যে বার্তা দেওয়া হয়েছিল, সেই কাজটাই বাস্তবে করতে চেয়েছিল টিম মানবজমিন।’ আরও পড়ুন: শাহরুখ জ্বরে কাবু দেশ, ‘জওয়ান’ অপ্রতিরোধ্য সোমবারেও! ৫ দিনে কত আয় অ্যাটলির ছবির?
রাণা জানালেন নিজেদের উদ্যোগেই তাঁরা এই কাজ শুরু করেন। যদিও পাশে পেয়েছেন বিধায়ক জুন মালিয়া, চুনি কোটাল মেমোরিয়াল ট্রাস্ট এবং পশ্চিম মেদিনীপুর প্রশাসনকে। এখন তাঁদের অপেক্ষা কবে থেকে এলাকার ছোটছোট নিষ্পাপ মুখগুলো আসবে স্কুলে সেটারই। আরও পড়ুন: কেকে বিতর্ক অতীত! রূপঙ্করের দাবি, ‘মনের কথা মুখে চলে আসে, চেপে রাখতে পারি না’
রাণা সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই নিয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলেন দিনকয়েক আগে। যাতে মানবজমিন অবৈতনিক স্কুলের শিলান্যাস অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে স্কুল গড়ে ওঠার টুকরো-টাকরা নানা মুহূর্ত নিয়ে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেন তিনি। লেখেন, ‘শালবনির প্রত্যন্ত এক প্রান্তরে আদিবাসী শিশুদের যাদের শিক্ষার জন্য স্কুলের সমস্যা তাদের জন্য তৈরী করা শুরু করেছিলাম এক অবৈতনিক বিদ্যালয়ের। স্কুল তৈরীর কাজ প্রায় শেষের দিকে, সব ঠিক থাকলে আর কিছুদিনের মধ্যেই বাচ্চারা বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতে যেতে পারবে, বিদ্যালয় প্রাঙ্গন ভরে উঠবে কচিকাচাদের কলতানে।’
রাণার মতে, ‘প্রথমবার, দর্শক বাংলা সিনেমার পাশে না দাঁড়ালেও একটা বাংলা সিনেমা নিজেই মানুষের পাশে দাঁড়ালো। অপেক্ষার আর মাত্র কিছুদিন বাকি’।
টিম মানবজমিনের এই উদ্যোগে রাণা, শ্রীজাত, প্রিয়াঙ্কা, পরমব্রতদের শুভেচ্ছা জানালেন নেট-নাগরিকরাও।