বছরখানেক আগেই বড় বিতর্কে জড়িয়েছিলেন গায়ক রূপঙ্কর বাগচি। তাঁর বলা, ‘হু ইজ কেকে’ নিয়ে উত্তাল হয়েছিল গোটা একটা ইন্ডাস্ট্রি। অবস্থা এমন হয় যে তাঁর হাত থেকে চলে যায় নামি ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনের একটা জিঙ্গেল। ক্রমাগত হুমকির মুখে পড়ে তাঁর গোটা পরিবার। বাদ যায়নি তাঁর একমাত্র কন্যা সন্তানও। এমনকী, সেই সময় তাঁর বৃদ্ধা মাকেও হুমকি দেওয়া হয়েছিল ধর্ষণের। তবে সেসব এখন অতীত। ধীরে ধীরে মানুষ ভুলতে বসেছে। অনলাইন ট্রোলও কমছে। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক তালে ফিরছে জীবন।
আসলে কেকে-র কলকাতা কনসার্ট নিয়ে বাংলার মানুষের মাতামাতি আঘাত এনেছিল কেকে-র মনে। বাঙালি হিসেবে তাঁর আশা ছিল বাংলার শিল্পীরা একটু হলেও বেশি সম্মান পাবেন এই তিলোত্তমায়। তাই হয়তো খানিক মাথা গরম করেই বলে ফেলেছিলেন ‘হু ইজ কেকে’! আর অদৃষ্ঠের লেখনীতে, তার কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চলে গেলেন গায়ক। কলকাতা কনসার্টেই শেষ গান গাইলেন কেকে। তারপরই কেকে-ভক্তদের রাগ গিয়ে পড়ল রূপঙ্করের উপর। অবশ্য কেউ কেউ, মনের খুশিতেই ট্রোলের ঢেউতে গা ভাসিয়ে ‘গা গরম’ করে নিয়েছিলেন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রূপঙ্কর মেনেও নিলেন তাঁর মাথাটা একটু গরম। গায়ক টিভি নাইন বাংলাকে বললেন, ‘আমি লোকটা খুব একটা সুবিধের নই, খুব একটা স্বাভাবিকও নই। তাই আমার সঙ্গে যারা থাকেন তাঁদের অসুবিধে একটু বেশিই হয়। হুট করে রেগে যাই। তবে রাগটাও তাড়াতাড়ি চলে যায়। রেগে গেলে আবার মনের কথা মুখে চলে আসে, চেপে রাখতে পারি না।’ আরও পড়ুন: মেষ থেকে মীন: রান্নার হাত ভালো হয় এই ৫ রাশির, খাবারের স্বাদ লেগে থাকে মুখে
‘আজ পর্যন্ত এমন হয়নি আমার মনে কোনও কথা এসেছে আর আমি বলিনি। হ্যাঁ কোনও গালাগালি হলে ব্যাপারটা আলাদা। সামনের মানুষটা সিনিয়র হলে সম্মান দিতে চুপ করে থেকেছি বহুবার। আসলে আমি যা তেমনটাই লোককে দেখাই। ফেক হতে পারি না। এই পেশায় এটা আবার একেবারেই চলে না।’, আরও বলেন রূপঙ্কর। আরও পড়ুন: বিয়ের পর রাতে মনোজিতের ‘পা চাটতে হত’ বৈশাখীকে! কাউকে বলেননি, জানত শুধু শোভন
সম্প্রতি রূপঙ্করকে দেখা গিয়েছিল দিদি নম্বর ১-এ স্ত্রী চৈতালির সঙ্গে। যেখানেও কেকে এপিসোড নিয়ে কথা বলতে শোনা যায় তাঁদের। খুব জলদিই রূপঙ্করের অনুষ্ঠান একক অনুষ্ঠান রবীন্দ্রসদনে। এখন দেখার পুরনো বিতর্ক ভুলে কতটা দর্শক সমাগম হয় ‘ও চাঁদ’ গায়কের অনুষ্ঠানে।