বিগ বসের ঘর থেকে এলিমিনেট হওয়ার পরই বোমা ফাটালেন রীতেশ। রাখি সাওয়ান্তের 'স্বামী'কে নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে কম চর্চা হয়নি। কে রাখির স্বামী? কী তার পরিচয়? এই প্রশ্নের উত্তরটাই মাস কয়েক আগও জানতো না কেউ। রাখির সিক্রেট হাজব্যান্ড প্রকাশ্যে আসেন বিগ বস ১৫-র মঞ্চে। তবে বিগ বসের ঘরে রাখির সঙ্গে তাঁর দুর্ব্যবহার সর্বদাই থেকেছে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। এমনকি সলমন খান পর্যন্ত সরাসরি এই ‘বিষাক্ত’ সম্পর্ক ছেড়ে বেরিয়ে আসবার পরামর্শ দিয়েছেন। রীতেশ বিগ বসের ঘরে থাকাকালীনই তাঁর প্রথম স্ত্রী সিন্ধপ্রিয়া অভিযোগ করেন রীতেশের সঙ্গে তাঁর বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি, এমনকি রীতেশ নাকি এনআরআই নয়। রীতেশের বিরুদ্ধে আগেই গার্হ্যস্থ হিংসার অভিযোগও দায়ের করেছেন স্নিগ্ধপ্রিয়া।
বিগ বসের ঘর থেকে বেরিয়ে স্ত্রী স্নিগ্ধপ্রিয়ার অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন রীতেশ। হিন্দুস্তান টাইমসকে তিনি একান্ত সাক্ষাত্কারে জানান, ‘আমার স্ত্রী আমার উপর যে অভিযোগ এনেছে সেটা আমি জানতাম, তো চেয়েছিলাম সেগুলো একবার পরিষ্কার হয়ে গেলে আমরা আইনি বিয়ে করব সঠিকভাবে। অনেক ভাবনা ছিল, রাখির কেরিয়ার ছিল, আমরাও অনেক প্রোজেক্টের কাজ চলছিল’।
স্নিগ্ধপ্রিয়ার সঙ্গে কি ডিভোর্স হয়েছে রীতেশের? স্ত্রীর দাবিতে শিলমোহর দিয়ে রীতেশ বলেন, ‘না, আইনত এখনও আমরা স্বামী-স্ত্রী কিন্তু রাখির সঙ্গে আমি ভগবানকে সাক্ষী মেনেই বিয়ে করেছি। আমাদের সম্পর্কটা মিথ্যে নয়’। স্ত্রী স্নিগ্ধপ্রিয়ার আনা অভিযোগ উড়িয়ে রীতেশ বলেন, ‘আমাদের বিয়ের পর দু’বার ও পরপুরুষের সঙ্গে পালিয়েছে… কিন্তু আমাদের সন্তানের কথা ভেবে আমি চুপ ছিলাম। ও আমার জীবন খারাপ করে দিয়েছে, আমি চাই না আমাদের সন্তানের জীবন বরবাদ করতে। একবার পালিয়ে যাওয়ার পরেই আমি ওর বিরুদ্ধে ডিভোর্স ফাইল করেছিলাম, কিন্তু সেই কাগজে ওই সই করছে না।
বউকে পেটাতো রীতেশ, স্নিগ্ধপ্রিয়ার এই অভিযোগ নিয়ে রীতেশ বলেন, বিগ বসের জার্নি তো আপনারা দেখেছেন। আমার তো আর ডুয়েল পার্সোনালিটি নেই, ও মিথ্যে বলছে। যদি সত্যি আমি তেমন বদমেজাজী স্বামী হতাম, তাহলে কি আপনি আমার সঙ্গে এতোদিন সংসার করতেন? যে কোনও বুদ্ধিমান মেয়ে একদিনেই চলে যাবে। শীঘ্রই সংবাদিক বৈঠক ডেকে স্নিগ্ধপ্রিয়ার ‘পর্দা ফাঁস’ করবার কথা জানান রীতেশ। তিনি বলেন, কেবলমাত্র তাঁর কাছ থেকে টাকা লুটতেই ফন্দি এঁটেছিল স্নিগ্ধপ্রিয়া।
রাখির সঙ্গে রীতেশের সম্পর্কের ভবিষ্যত কী? তিনি জানান, ‘আমার মনের সম্পর্কটা অবশ্যই রাখির সঙ্গে। রাখি আমাকে স্বামী হিসাবে স্বীকৃতি দেয়, আর আমার কাছেও ওই আমার স্ত্রী। আমার ডিভোর্স হয়ে গেলে আমি আইনিভাবে ওকেই বিয়ে করব। আমার ব্যক্তিগত জীবনের সবচেয়ে খারাপ সময়ে ও আমার পাশে ছিল’। রীতেশ জানান, ২০১৯ সালে একটি ইভেন্টের সূত্রে পরিচয় দুজনের। রাখি তাঁকে প্রেম প্রস্তাব দিয়েছিলেন। প্রথমে এড়িয়ে গেলেও ‘কন্ট্রোভার্সি কুইন’ রাখির প্রেমে পড়ে যান রীতেশও। এরপর ২০১৯ সালের ২৮ শে জুলাই সাত পাকে বাঁধা পড়েন দুজনে।