নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে নতুন করে জড়িয়েছে দুটো নাম, অয়ন শীল আর শ্বেতা চক্রবর্তীর। আর দুজনেই জড়িত টলিউডের গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে। কৌশিক গঙ্গোপাধ্য়ায়ের সিনেমা কবাডি কবাডি-তে টাকা ঢেলেছিলেন ‘প্রোমোটার’ অয়ন। কবাডি কবাডির সেটেও নাকি গিয়েছিলেন দু একবার। সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমের কাছে এই নিয়ে মুখ খুললেন সেই ছবির অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী।
ঋত্বিক সাফ জানালেন, পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়েই ছবির কাজে গিয়েছিলেন। প্রযোজকের সঙ্গে কোনও আলাপই ছিল না। সেটে দু-একবার দেখেছেন। কিন্তু সেভাবে কোনও কথাও হয়নি। অভিনেতার কথায়, ‘ব্যবহার ঠিক ছিল। কী আর করবে। প্রথম না দ্বিতীয় ছবি তাও জানি না। কে কী ব্যবসা করে তা নিয়ে মাথা ঘামাই নাকি। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের একটা সিনেমা, তা করতে গিয়েছি। প্রযোজক প্রোমোটারি করে, না অন্য কিছু বিক্রি করে তা জানি না। আর ব্যবহার দিয়ে এসব কিছুই বোঝা যায় না।’
ঋত্বিক জানালেন, কবাডি কবাডি সিনেমার শ্যুট সম্পূর্ণ হলেও ডাবিং এখনও বাকি। আর ডাবিং বাকি থাকায় অভিনেতা হিসেবে ছবির জন্য পুরো পারিশ্রমিকও তিনি পাননি। তাঁর মতো অনেকেরই পারিশ্রমিক বাকি। ভেবেছিলেন, যেভাবে কিছু প্রোজেক্ট মাঝপথে আটকে থাকে এটাও হয়তো সেরকমই হয়েছে।
টলিউডের সঙ্গে পরপর যেভাবে দুর্নীতি প্রসঙ্গ জড়াচ্ছে তাতে কি বাংলা ইন্ডাস্ট্রি কলুষিত হচ্ছে না জানতে চাওয়া হলে ঋত্বিক জবাব দেন, ‘ওভাবে দু-চারটে ছুটকো ঘটনায় টলিউড কলুষিত হয় না। বলতে খুব ভালো লাগে। কোন টাকা ঘুরছে সেটা খুব ইমপরটেন্ট। একটা ইন্ডাস্ট্রিকে কলুষিত করতে পারে এমন ক্ষমতা আছে নাকি যে কোনও লোকের। আর টাকার সঙ্গে দুর্নীতি অনেকদিন ধরেই জড়িয়ে আছে। অনেকদিন ধরেই কালো টাকায় সিনেমার প্রযোজনা হচ্ছে। যাদের ধরার তাঁরা ধরছে। আমি কী বলব এতে। ’
প্রসঙ্গত, কুন্তল-কাণ্ডে নাম জড়িয়েছিল প্রিয়াঙ্কা সরকার থেকে বনি সেনগুপ্ত, এনা সাহা প্রমুখর। এখন আবার নতুন দিক। সাধারণ মানুষের মনে এখন প্রশ্ন, সাধারণকে ঠকিয়ে এসএসসি কাণ্ডে যত টাকা নেওয়া হয়েছিল তা সাদা করতে কি তাহলে ব্যবহার করা হয়েছিল টলিউডকেই! আর কারা কারা জড়িত আছেন এতে! পরিচালক থেকে অভিনেতা, কেউই কি সত্যি জানতেন না এই টাকার আসল উৎস যে দুর্নীতি?
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)