এখন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা মানেই এখন বাঙালি সিরিয়ালপ্রেমীদের কাছে টিভি সেট খুলে দেশের মাটি দেখতে বসা। এই সিরিয়ালের তথাকথিত কেন্দ্রীয় চরিত্র না হলেও যে জুটি দর্শক মনে সারা ফেলেছে তা হল ‘রাজা-মাম্পি’। এই জুটির প্রেম, বিরহ, বিচ্ছেদ- এইসব নিয়েই টিআরপি তালিকায় এখন চড়চড়িয়ে এগিয়ে যাচ্ছে দেশের মাটি। সোশ্যাল মিডিয়া তো এমনও হাওয়া উঠেছে, কিয়ান-নোয়া-কেও ছাপিয়ে গিয়েছে ‘রাজা-মাম্পি’। এই ভূমিকায় অভিনয় করে সকলের নজর কেড়েছেন টলিগঞ্জের অভিজ্ঞ খিলাড়ি রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অনেকখানি নবাগতা রুকমা রায়।
এর আগে ‘খড়কুটো’ ধারাবাহিকে তিন্নির চরিত্রে দর্শক দেখেছে রুকমাকে, তবে মাম্পির চরিত্র সবকিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে। রাজা-মাম্পির রসায়ন নিয়ে এতো চর্চা এর রহস্যটা কী? বাস্তবেও কি রাহুলের সঙ্গে প্রেম করছেন রুকমা? সেই নিয়ে এক সাক্ষাত্কারে অভিনেত্রী বলেন- ‘কোনও প্রেম নেই আমাদের। ভাল বোঝাপড়া আছে। তারই প্রতিফলন পর্দায় ঘটছে’।
রাহুলের মতো ভার্সাটাইল অভিনেতার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে আনন্দবাজারকে দেওয়া ওই সাক্ষাত্কারে রুকমা জানিয়েছেন, কো-স্টারের নাম শুনেই ভয় গিয়েছিলেন তিনি। পর্দার মাম্পির কথায়, ‘একে উনি এত বড় অভিনেতা। তার উপর আলাপও নেই। কেমন হবেন, আমার সঙ্গে মিলবে তো? টেনশন হত। আলাপ হওয়ার পরে দেখলাম, কী ভাল মানুষ। ভীষণ সাহায্য করেন’।
রাজা-মাম্পি জুটির সাফল্যের বেশিরভাগ ক্রেডিটটাই কাহিনিকার লীনা গঙ্গোপাধ্যায় ও সহ-অভিনেতা রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিয়েছেন রুকমা। মাম্পির চরিত্র কতখানি চ্যালেঞ্জিং রুকমার কাছে? অভিনেত্রী বললেন, পরিচালক ‘কাট’ বললেও তাঁর ঘোর কাটছে না। মাম্পির রেশ নিয়েই বাড়ি ফেরেন তিনি। এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা বেশ শক্ত। ‘মাম্পি’ রুকমাকে পুরো নিংড়ে নিচ্ছে, সাফ জানালেন অভিনেত্রী।
এতো ভালোবাসায় পেয়ে আপ্লুত রুকমা। বললেন, ‘আমরা হাসলে ওঁরা (দর্শক) হাসছেন। আমরা কাঁদলে ওঁরা কাঁদছেন! এক জন অভিনেতা এর থেকে বেশি আর কী চান? আমরা নাকি প্রেম করতে শেখাচ্ছি। ভাবা যায়?’
সৌজন্য আর রাজা-র মধ্যে কেমন প্রেমিক পছন্দ রুকমার? অকপটে বেছে নিয়েছেন রাজা-কে। কারণ ‘প্রেমিক তো রাজার মতোই হয়’। তবে বাস্তব জীবনে কি রাজা এসেছে রুকমার জীবনে? আফসোসের সুরে বললেন, ‘কপালটাই খারাপ। এত প্রস্তাব। অথচ এখনও মনের মতো প্রেমিক পেলাম না’।