সোমবার সকলকে চমকে দিয়ে বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিলেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। যশ দাশগুপ্ত, পায়েল সরকারের পর গেরুয়া শিবিরে নাম লেখালেন আরও এক হেভিওয়েট টলি নায়িকা। শ্রাবন্তীও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী হিসাবেই পরিচিত, সে জায়গায় তাঁর বিরোধী দলে যোগ দেওয়াটা যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ।
তৃতীয় বিয়ে ভাঙা নিয়ে সম্প্রতি সংবাদ শিরোনামে থেকেছেন শ্রাবন্তী। গত বছর পুজোর পরপরই সামনে আসে শ্রাবন্তী-রোশনের আলাদা হয়ে যাওয়ার কথা। সেই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কম কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়নি নায়িকাকে। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই তিন নম্বর বিয়েও ভেঙেছে শ্রাবন্তীর। ছয় মাস হল রোশনের সঙ্গে কোনও য়োগাযোগ নেই তাঁর, তবে শ্রাবন্তীর এই নতুন সফর নিয়ে কী বলছেন রোশন?
এই বিষয়ে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে রোশন জানান, ‘আমি শুভেচ্ছা জানাবো শ্রাবন্তীকে৷ নতুন ফিল্ডে যেন দুর্দান্ত কাজ করে শ্রাবন্তী, এটাই চাইব৷ দূর থেকেই শুভেচ্ছা রইল৷ আগামিদিনে যেন ভালো লিডার তৈরি হয় শ্রাবন্তী৷ এর থেকে বেশি কিছু আর চাই না'। রোশন এও জানিয়েছেন শ্রাবন্তীর রাজনীতিতে যাওয়ার কোনওরকম আভাস তাঁর জানা ছিল না, যদিও ছয়মাস বিচ্ছিন্না স্ত্রীর সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ নেই তার সেকথাও জানাতে ভোলেননি রোশন।
শ্রাবন্তীর রাজনীতিতে যোগদানকে আর পাঁচজনের মতো করেই দেখছেন রোশন, তাঁর কথায় তিনি সেই দলকেই ভোট দেবেন যাঁরা দেশের উন্নয়নের স্বার্থে সেরা কাজ করতে পারবে বলে তিনি মনে করেন। তবে শ্রাবন্তীর জন্য রইল রোশনের ‘বেস্ট অফ লাক’ বার্তা।
বিচ্ছেদ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখে কুলুপ শ্রাবন্তীর, রোশন মুখ খুললেও খুব স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। তাঁর কথায়, ‘আমাদের মধ্যের সমস্যা আমাদের মধ্যেই থাকুক’। তবে ইনস্টাগ্রাম বার্তায় মাসখানেক আগেও প্রছন্ন বার্তায় একে অপরকে বিঁধতে ছাড়েননি তাঁরা। যদিও রোশনের কথায় সেই বার্তা কোনও ব্যক্তি বিশেষকে উল্লেখ করে নয়। কিন্তু সেই তত্ত্ব মানতে না-রাজ নেটনাগরিকরা।
আইনি পথে হেঁটে এখনও বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়নি তাঁদের। খাতায়-কলমে আজও স্বামী-স্ত্রী তাঁরা। তবে সম্পর্ক জোড়া লাগার কোনও সম্ভাবনাই নেই! নিজের দুনিয়াতেই আপাতত ব্যস্ত শ্রাবন্তী। অভিনয়, জিমখানার পর এবার যোগ হল নতুন ময়দান-রাজনীতি। বিধানসভা ভোটে কি বিজেপির হয়ে লড়বেন নায়িকা? উত্তরের অপেক্ষায় অনুরাগীরা।