ভোটের বাদ্যি বেজে গিয়েছে। ১৯ এপ্রিলই শুরু হয়ে যাকে প্রথম দফার নির্বাচন। তৃণমূল থেকে বিজেপি, এমনকি বামেরাও ভোটের আগে নিজেদের মতো করে জনসংযোগ শুরু করেছে। এরই মাঝে নতুনভাবে জন সংযোগের পথ অবলম্বন করল গেরুয়া শিবির।
বৃহস্পতিবার বিজেপি অফিসে হয়ে গেল পথ নাটকের সূচনা। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ঘরে ঘরে পদ্ম’। এটাকে ‘সংঘ নাটক’ বলেই তুলে ধরছে বিজেপি। তাঁদের কথায়, রাজ্যের মানুষ যে কথা বলছে, সেটাই এই নাটকে তুলে ধরা হবে। সাধারণ মানুষের বাড়িতে যে আলোচনা হয়ে সেকথা তুলে ধরা হবে। এই নাটকের দলের নেতৃত্বে দেখা গেল অভিনেতা, রাজ্য বিজেপির সংস্কৃতি সেলের প্রধান রুদ্রনীল ঘোষকে।
রুদ্রনীল বলেন, ‘৪২টি লোকসভায়, বিধানসভা ভিত্তির অঞ্চলে যেখানে মানুষ প্রতারিত হয়েছেন। তৃণমূল গণতন্ত্র, মান ইজ্জত লুঠ করেছে। যে ভাষা মানুষ বলতে চাইছেন। যে আলোচনা চায়ের দোকানে, ট্রেনে-বাসে হচ্ছে। কিংবা তৃণমূলের ভয়েতে মায়েরা যে আলোচনা রান্নাঘরে করছেন, সেটাই এই নাটকের মাধ্যমে আমাদের শিল্পীরা তুলে ধরবেন।’
পথ নাটকের মাধ্যমে প্রচার অবশ্য নতুন নয়। তবে ‘ঘরে ঘরে পদ্ম’ পথ নাটিকায় অংশগ্রহণকারী এক নাট্যকর্মী বলেন, ‘পথ নাটিকা শুধু বামপন্থীদের বিষয় নয়। পথে যেটা হয় সেটাই পথ নাটক। বামপন্থীরা হয়ত এটা তাঁদের মতো করে ব্যবহার করেছেন। আমরা যেটা করছি, সেটা সংঘ নাটক। যে নাট্যে কোনও নায়ক-নায়িকা নেই। সমস্ত সংঘটাই নায়ক-নায়িকা।’
বিজেপির দাবি, এই নাটকের মাধ্যমে কামদুনি থেকে পার্কস্ট্রিট, সন্দেশখালি, সারদা-নারদা-রোজভ্যালি, চাকরি চুরি সহ নানান দুর্নীতির বিষয় মানুষের কাছে এই নাটকের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে। আবার এই নাটকের মাধ্যমেই সোনার বাংলা গড়ার ডাকও দেবে বিজেপি। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এই পথ নাটিকার জন্য মোট ২৯টি টিম তৈরি করা হয়েছে বলে খরব।
রুদ্রনীল ঘোষ আরও জানান, ‘আজ থেকে আমাদের সাংস্কৃতিক প্রচার কর্মসূচি তৈরি করেছি। ঘরে ঘরে পদ্ম- এই নাটকের টিম প্রথমে চলে যাবে উত্তরবঙ্গে। প্রথম দু'দফার ভোট তো ওখানেই। ২৯টা টিম রয়েছে, আর ৪টে স্ক্রিপ্ট। তাতেই সমস্ত ইস্যু তুলে ধরা হবে।’
বিজেপির দাবি, টলিউডে যাঁরা তৃণমূলের আগ্রাসনে কাজ হারিয়েছেন, তাঁরাই নাকি এই নাটকের দলে যুক্ত হয়েছেন।