বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় রক ব্যান্ড ফসিলস দেখতে দেখতে ২৫ বছর পূর্ণ করে ফেলল। আর এই ২৫ বছরের জন্মদিন উদযাপন করতে আয়োজন করা হয়েছিল ফসিলস পঞ্চবিংশতি-র। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রূপম তথা ফসিলস ভক্তরা ভিড় জমিয়েছিলেন এই শোতে। অনুষ্ঠানের ভেন্যুতে ভরে গিয়েছিল কালো জামায়। চলেছে জয় রক ধ্বনি এবং ফসিলসের একটার পর একটা গান।
সোশ্যাল মিডিয়ায় অবশ্য এই অনুষ্ঠানের বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই পঞ্চবিংশতির উত্তাপ টের পাওয়া যাচ্ছিল। একটার পর একটা পোস্ট নজর আসে ফসিলস এবং রূপম ইসলামকে নিয়ে। এই রক ব্যান্ডের তো বটেই, গোটা বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় গায়ক হলেন রূপম। দেশে বিদেশে ছড়িয়ে তাঁর অগণিত ভক্ত। তাঁর একটার পর একটা মুগ্ধ হয় যুবক থেকে তরুণরা। প্রেমে পড়েন, বিচ্ছেদের যন্ত্রণা সামলে ওঠেন। একই সঙ্গে স্পর্ধা, সাহস পান। কিন্তু এত কিছুর মধ্যেও তাঁর সমালোচনা কিছু কম হয় না। নানা কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় রূপমকে। কিন্তু গায়ক কখনই সেভাবে এই বিদ্রুপ, কটাক্ষের আলাদা করে উত্তর দেন না।
কিন্তু ফসিলসের ২৫তম জন্মদিনের 'উৎসবে' তিনি কিন্তু কাউকে ছেড়ে দিলেন না। বরং সকলকে অবাক করে নিন্দুকদের এক হাত নিলেন। সেদিনের মঞ্চ থেকে আচমকাই রূপম বলে ওঠেন, 'একটি ছাগল আমায় বলেছিল, ছাগলের নামটা বলতে পারলে ভালো হতো, কিন্তু সে সব নাম আমি মনে রাখি না। ফসিলস দুটো অ্যালবামের ব্যান্ড। তাহলে আজকে যে গানগুলো হল সেগুলো দুটো অ্যালবাম থেকেই হল তো? হয়নি তো?' এরপর তাঁকে এমন একাধিক গানের নাম করতে দেখা যায় যা ফসিলসের একাধিক অ্যালবাম থেকে নেওয়া।
নিন্দুকদের কড়া উত্তর দিয়ে গায়ক বুঝিয়ে দেন ফসিলস কেবলই একটা ব্যান্ড নয়, বরং একটা ইমোশন। একটা গোটা প্রজন্মের কাছে এই ব্যান্ড ইমোশন। আর তাই তো ফসিলসের ২৫ তম জন্মদিনের দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলে কেবলই একটি ব্যান্ড নিয়েই চর্চা হতে দেখা গিয়েছে। না, কেবল সাধারণ মানুষরা নন। এই চর্চায়, উচ্ছ্বাসে নাম লিখেছিলেন বহু তারকারাও।
ফসিলস পঞ্চবিংশতি দারুণ সাফল্য পাওয়ার পর কল্যাণীতে যে অনুষ্ঠান হল ফসিলসের সেটাও সফল হয়েছে। ভিড় উপছে পড়েছিল এদিনের অনুষ্ঠানে।