বর্তমান সময়ে টলিউডের তারকাদের কাছে নাচ, গান বা অভিনয় শেখার উৎসাহ ক্রমাগত বাড়ছে। বহুদিন ধরেই নিজের নাচের স্কুল চালাচ্ছেন ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়। সম্প্রতি নাচের ক্লাস শুরু করেছেন অভিনেত্রী অহনা দত্ত, যাকে মিশকা-র চরিত্রে দেখা যাচ্ছে অনুরাগের ছোঁয়া ধারাবাহিকে। টলিউডের বহু গায়কও খুলেছেন, নাচের স্কুল। এর মধ্যে রয়েছেন রূপঙ্কর বাগচিও।
গভীরে যাও, এ তুমি কেমন তুমি, রূপকথারা, জাগো উমা-র মতো একাধিক হিট গান উপহার দিয়েছেন রূপঙ্কর বাগচি বাঙালিকে। তবে এই সুদক্ষ গায়কের কাছে গান শেখার সুযোগও রয়েছে। এই নিয়ে কদিন আগে রূপঙ্কর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। যোগাযোগের জন্য একটি নম্বরও রয়েছে তাতে।
রূপঙ্কর কি নিজেই গান শেখাবেন? বেশ কিছুদিন ধরেই যাদবপুরে গানের স্কুলটি রয়েছে গায়কের। তিনি নিজেই গিটার বাজিয়ে সকলকে গান শেখান। এখন সেটাকে আরও বড় করার কথা ভাবছেন। লকডাউনের সময় গানের ক্লাসটা শুরু হয়েছিল। এতদিন অনলাইনেই ক্লাস চলত মূলত। তবে এবার শেখাতে চান হাতে-কলমে।
রূপঙ্কর বাগচি টিভি নাইনকে জানান, সেই স্কুলে তিনি নিজেই গান শেখান। তাঁর হয়ে কোনও সহকারী সেই কাজটা করে না। সপ্তাহে দু দিন ক্লাস থেকে। ৪ বছরের উপর যে কেউ সেখানে গান শিখতে পারে। বয়সের কোনও বাধা নেই। ছোট বাচ্চা থেকে বয়ষ্ক, সবার জন্যই দ্বার খোলা।
আরও পড়ুন: বলিউডি ফিল্মি বাড়ির ছেলে, একাধিক পরকীয়ায় নাম জড়ায়, কথা বন্ধ করত বউ, বলুন তো কে
রূপঙ্কর বাগচির কাছে গান শেখার খরচ কত?
গায়ক নিজেই জানিয়েছেন, তাঁর গানের স্কুলে ভর্তি হতে লাগে ৩ হাজার টাকা। আর মাসে মাসে দিতে হয় ২ হাজার।
আরও পড়ুন: হাজার টাকার শাড়ি ১০ হাজারে বিক্রির অভিযোগ! কত কোটির সম্পত্তি, লোকসভা ভোটের আগে হিসেব দিলেন রচনা
বছর দুই ধরে বিতর্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে রূপঙ্কর বাগচিকে। ২০২১ সালে একটি মন্তব্য করেছিলেন গায়ক কেকে-কে নিয়ে। কেকে-র কলকাতা সফরের সময় যে পাগলামো শুরু হয়েছিল শহরজুড়ে তাতে বিরক্ত রূপঙ্কর লাইভে এসে বলেন, ‘হু ইজ কেকে’। আর কাকতালীয়ভাবে সেই কনসার্টের রাতেই হার্ট অ্যাটাকে মারা যান কেকে। আর সব রাগটা গিয়ে পড়েছিল রূপঙ্করের উপর। এমনকী, নেটপাড়ার রোষ এমন একটা জায়গায় গিয়ে পৌঁছয় যে, গায়কের হাতেও কাজ কমতে থাকে। লাইভ শো-র বুকিং ক্যানসেল হয়। এমনকী, কেক বিক্রেতা মিও আমোরে রূপঙ্করের গাওয়া থিম সং-টিকে সরিয়ে দেন।
শুধু রূপঙ্কর নয়, সেই সময় গায়কের বউ-মেয়ে-মা-কে নিয়েও আসতে শুরু করেছিল কটাক্ষ। এখন সেই ট্রোল কমলেও, পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি।