Rwitobroto Mukherjee: ঋতব্রতর কেরিয়ারের নয়া অধ্যায়, 'গুন্ডামি'র সঙ্গে শুরু করলেন প্লেব্যাক

Rwitobroto Mukherjee: ঋতব্রত মুখোপাধ্যায় এবার কেরিয়ারের নতুন অধ্যায় শুরু করলেন। প্লেব্যাক গায়ক হিসেবে তিনি সুব্রত সেনের ছবি প্রজাপতিতে কাজ করলেন তিনি।

ঋতব্রতর কেরিয়ারের নয়া অধ্যায়

ঋতব্রত মুখোপাধ্যায় তাঁর কেরিয়ারের নতুন অধ্যায় শুরু করলেন। সুব্রত সেনের ছবি প্রজাপতিতে তিনি প্লেব্যাক গায়ক হিসেবে কাজ করেছেন। পরিচালক এই ছবিটি সমরেশ বসুর উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি করেছেন। জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই প্রজাপতি 'ওড়া'র প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। এই ছবির একটি গান হল ডিম পাউরুটি। সেই গানটির এক ঝলক প্রকাশ্যে এল সম্প্রতি।

সুব্রত সেন পরিচালিত প্রজাপতি ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যাবে সুব্রত দত্ত, মুমতাজ সরকার, শ্রীতমা দে, প্রমুখ। ঋতব্রত এখানে গান গাওয়ার পাশাপাশি অভিনয় করেছেন। এই ছবিতে প্রজাপতিকে রূপক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।

ঋতব্রত মুখোপাধ্যায় তাঁর এই নতুন অধ্যায়ের বিষয়ে জানিয়েছেন, 'আমি যবে থেকে গিটার বাজিয়ে গান গাওয়া শুরু করেছি তবে থেকেই আমার কাছে প্লেব্যাক করার জন্য অফার এসেছে। কিন্তু আমি যেহেতু কখনই প্রথাগত ভাবে গান শিখিনি সেহেতু প্লেব্যাক সিঙ্গিং থেকে দূরে ছিলাম। তবে আমি নিয়মিত নাটকে গান গাই আমি। তখনই একদিন সুব্রত দা আমায় ফোন করে বললেন সবাই বলছে তুই নাকি গান করিস। আমি তো জানতাম না। তখনই এই ছবির জন্য গুন্ডা গানটি প্লেব্যাক করার অফার পাই।'

ঋতব্রত এই ছবিতে তাঁর চরিত্রের প্রসঙ্গে আরও বলেন, 'আমি এখানে এক অল্প বয়সী গুন্ডার চরিত্রে অভিনয় করেছি। আমার চরিত্র মূলত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের থেকে টাকা নিয়ে তাদের হয় ভাড়াটে গুন্ডার কাজ করে। এই ছবি যখন কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হয়েছিল তখন খুব ভালো সাড়া পেয়েছিলাম।'

সুব্রত সেন এর আগেও সমরেশ বসুর উপন্যাস অবলম্বনে ছবি তৈরি করেছিলেন। ১৯৬৭ সালে যখন এই লেখকের এই উপন্যাস প্রকাশ্যে আসে তখনই তাঁর বিরুদ্ধে অশ্লীলতার অভিযোগ আনা হয়। এখানে নারী দেহের নানা বর্ণনা আছে বলেই এমনটা মনে করা হয়েছিল। তবে যেহেতু এখন সমাজ বদলেছে, ভাবনায় বদল এসেছে সেহেতু মনে করা হচ্ছে যে দর্শকরা এই ছবি ভালো ভাবেই গ্রহণ করবে।

সুব্রত সেন জানিয়েছেন এই ছবির শ্যুটিং পুরুলিয়ায় হয়েছে। এখানে মোট চারটি গান আছে। ঋতব্রত ছাড়াও টুম্পা সোনা খ্যাত গায়ক আরব চৌধুরী গান গেয়েছেন এই ছবির জন্য। ছবি প্রসঙ্গে পরিচালক বলেন, 'আজকাল আর কেউ সিনেমা হলে গিয়ে বাংলা ছবির দেখছেন না। যাতে দর্শককে হলমুখী করে তোলা যায়, সেটার জন্য প্রজাপতি ছবিটি বানিয়েছি। একসময় এই বিতর্কিত উপন্যাস নিষিদ্ধ হলেও আমার ছবি হবে না।'