৪৮-এ পা দিলেন বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় সুরকার তথা গেজ হিমেশ রেশমিয়া। শুধুই সুরকার কিংবা গায়ক হিসেবে তাঁর পরিচিতি নয়। একইসঙ্গে তাঁর টুপিতে যোগ হয়েছে অভিনেতা,প্রযোজক, রিয়েলিটি শোয়ের বিচারক এর পালক। ১৯৯৮ সালে সলমন খানের হাত ধরেই বলিউড যাত্রা শুরু হয়েছিল হিমেশের। ছবির নাম ছিল 'প্যায়ার কিয়া তো ডরনা ক্যায়া'। বক্স অফিসে সুপারহিট সেই ছবির টাইটেল ট্র্যাক সহ আরও একটি গান তৈরির দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি। আর পিছনে তাকাতে হয়নি হিমেশকে। এরপর একের পর এক সলমনের ছবিতে গান বাঁধার সুযোগ পেয়েছেন এই হিট সুরকার। সেই তালিকায় রয়েছে,' তেরে নাম','ম্যায়নে প্যায়ার কিঁউ কিয়া', 'বডিগার্ড','কিক' এর মতো সব বক্স অফিস কাঁপানো সব ছবি।
২০১২ সালে হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের কেরিয়ার নিয়ে কথা বলা সময় কোনও লুকোছাপা না করে তাঁর সাফল্যের চাবিকাঠি হিসেবে সলমন খান এবং তাঁর পরিবারের 'সাহায্য'-র কথা উল্লেখ করেছিলেন তিনি। বলিউডে কোনও নামি 'ক্যাম্প'-এর সদস্য থাকার কী সুফল সেসব ব্যাপারেও অকপটভাবে জানিয়েছিলেন হিমেশ। ' সলমন এবং তাঁর পরিবারের দৌলতেই আজ আমার এই খ্যাতি। ওঁদের ক্রমাগত সাহায্য পেয়েছি বলে বলিউডে তেমন কোনও স্ট্রাগলই করতে হয়নি আমাকে। পরপর সব কাজের সুযোগ পেয়ে গেছি!',সোজাসাপ্টা জানিয়েছিলেন হিমেশ।
পাশাপাশি আরও জানিয়েছিলেন বলিউডের কোনও নামি ক্যাম্পের অংশ হলে কাজ পাওয়ার রাস্তাটা বড্ড সহজ হয়ে যায় অন্যদের তুলনায়। সেইসব নামি বলি-ব্যক্তিত্বদের বিশ্বাস ও ভালোবাসা অর্জন করতে পারলে কাজের সুযোগ আসবেই। জোর গলায় হিমেশ জানিয়েছিলেন তাঁর থেকেও অনেক বেশি প্রতিভাধর সুরকার এবং গায়ক রয়েছেন। কিন্তু তবু কেন তিনি পরপর কাজ পেয়ে গেলেন? তার কারণ তিনি বলিউডের একটি শক্তিশালী 'ক্যাম্প'-এর অংশ ছিলেন। তবে শুধুই 'দলবাজি' নয়, একইসঙ্গে সেই ব্যক্তির মধ্যে প্রতিভাও থাকতে হবে বৈকি। নইলে সবকিছুই মাটি।
সুরকার হিসেবে সাফল্য পাওয়ার পর ২০০৫ সালে 'আশিকি বনয়া আপনে' ছবিতে সুর দেওয়ার পাশাপাশি গায়ক হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেন হিমেশ। গায়ক হিসেবেই তাঁর ঝুলিতে রয়েছে একাধিক হিট নাম্বার। তবে অভিনেতা হিসেবে মার্কশিটে দারুণ নম্বর তিনি তুলতে পারেননি কখনই।