দিদি নম্বর ১ -এ খেলতে এসে সৌম্যর ফ্যান ফলোয়িং এবং তাঁদের নানা গোপন তথ্য ফাঁস করে দিলেন গায়কের হবু স্ত্রী ঋতিকা। এদিন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজেদের সম্পর্কের কথা বলার পাশাপাশি তিনি জানান সৌম্যর বিপুল মহিলা ভক্ত এবং তাঁদের পাঠানো প্রেম প্রস্তাবের কথা।
২০১৫ সালে বাংলার সারেগামাপার বিজয়ী হন সৌম্য। রিয়েলিটি শো জেতার পরই তাঁর বহুদিনের প্রেমিকাকে বিয়ে করেন। কিন্তু সেই বিয়ে সুখের হয়নি তাঁর। বছর দেড়েক যেতে না যেতেই তাতে ভাঙন ধরে। তারপর তাঁর এবং ঋতিকার বন্ধুত্ব গভীর হয়। সেখান থেকেই তারপর প্রেম। এদিন দিদি নম্বর ১ এর মঞ্চে খেলতে এসে নিজেদের সম্পর্কের নানা অজানা কথাই প্রকাশ্যে আনেন সৌম্যর হবু স্ত্রী।
সৌম্যর প্রসঙ্গে ঋতিকা
এদিন তিনি জানান তাঁরা ২০১৫ সাল থেকেই বন্ধু। কিন্তু তখন ঋতিকা বিয় করতে চাননি কারণ তিনি তখনও পড়াশোনা করছিলেন। পড়ার পর চাকরি পেয়েই সেটেল হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তারপর মহামারী এসে সবটাই বদলে দেয়। ঋতিকার কথায়, 'লকডাউন হওয়ার পর ও যখন বাঁকুড়া চলে গেল তখন বুঝলাম যে মানুষটার সঙ্গে রোজ দেখা হলে ভালো হয়। মিস করছি। তারপরই ভাবি যে এবার তবে বিয়ে করে সেটেল হওয়া যাক।' তিনি তাঁর হবু বরের প্রসঙ্গে আরও বলেন যে, সৌম্য নাকি তাঁকে ভীষণ সাপোর্ট করেন। তিনি বাইরে চাকরি পেলে তিনিই নাকি ওঁকে উৎসাহ দিয়েছিলেন সেখানে যাওয়ার জন্য। বর্তমানে তাঁরা লং ডিসটেন্স সম্পর্কে আছেন কারণ সৌম্য থাকেন মুম্বইতে, আর ঋতিকা কর্মসূত্রে থাকেন দক্ষিণ ভারতে।
আরও পড়ুন: ইন্ডিয়ান আইডলে দৃষ্টিহীন প্রতিযোগীর গলায় ভক্তিগীতি, শুনেই কান্নায় ভাসলেন শ্রেয়া
আরও পড়ুন: 'এখানকার খাওয়া-দাওয়া মিস করব...' কলকাতায় থাকছেন না অদিতি? পুজো কোথায় কাটাবেন গায়িকা?
সৌম্যর ফ্যান ফলোয়িং প্রসঙ্গে ঋতিকা
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন তাঁকে জিজ্ঞেস করেন যে সৌম্যর কত মহিলা ভক্ত তখন তিনি বলেন, 'অগুনতি। আর মজার বিষয় হল ওর ফ্যান পেজ এবং গ্রুপের অ্যাডমিন আমি। ফলে সব পোস্ট অ্যাপ্রুভ করা ইত্যাদি আমিই করি। ওখানে লোকজন আর লেখে না যে সৌম্যর গান ভালো লাগে, সবাই সোজাসুজি বলে যে সৌম্যকে ভালোবাসি। এসব দেখে মজা লাগে। কিন্তু ও আমার খুব যত্ন নেয়, বোঝে। ভীষণ সাপোর্ট করে।'
সৌম্য-ঋতিকার সম্পর্ক
গায়ক ইতিমধ্যেই তাঁর প্রেমিকার সঙ্গে বাগদান সেরে ফেলেছেন। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসেই তাঁদের বিয়ে।