পুজো মানেই পুজোর গান, খাওয়া দাওয়া, জমিয়ে শপিং, প্যান্ডেল হপিং। সাধারণ মানুষ টু তারকা সবারই শিডিউল এই সময় কম বেশি এক থাকে। কিন্তু ওই গুটিকয় মানুষ থাকে যাঁদের পুজোটা এই চেনা ছকে কাটে না। বরং একটু অন্য ভাবে, অন্য কোথাও কাটে। আর এই গুটিকয় মানুষদের মধ্যে এবার পড়েছেন গায়িকা অদিতি মুন্সিও।
সারেগামাপাতে এসেই প্রথমবার নজর কাড়েন অদিতি। তাঁর কণ্ঠে কীর্তন শুনে মুগ্ধ হয়ে যান সকলে। এখন তিনি প্রথিতযশা শিল্পী। এবার দুর্গাপুজোয় তাঁর প্ল্যান কী? কী করছেন? কীভাবেই বা পুজো কাটানোর পরিকল্পনা করেছেন সবটা জানালেন HT বাংলাকে।
পুজো নিয়ে কথা উঠতেই অদিতি জানান, 'এবার পুজোটা অন্যরকম। কলকাতায় থাকছি না। আমেরিকায় শো আছে। সেখানেই কাটবে এবারের পুজো। তবে এখানকার পুজো, মজা খুব মিস করব।'
পুজোয় কলকাতায় থাকছেন না বলে অদিতির মন খারাপ যে সেটা তো স্পষ্ট, কিন্তু মন ভালো করতে কি পুজোর শপিং সেরে ফেলেছেন? হেসে গায়িকা বলেন, 'শপিং তো আছেই। হয়েছে। কিন্তু আমি এবার সব থেকে বেশি মিস করব পুজোর খাওয়া দাওয়া, ভিড়, প্যান্ডেল, ঢাকের আওয়াজ। খুবই মন খারাপ।'
আরও পড়ুন: 'গান থাকলে সব থাকবে', বারো গানে বর্ষ যাপনের ভাবনা নিয়ে কী বললেন অদিতি মুন্সি
আরও পড়ুন: শুভশ্রীর কোলে একরত্তি শিশুকন্যা, তবে কি সত্যিই অভিনেত্রীর সাধপূরণ হল?
তবে পুজোতে নিজে কলকাতায় না থাকলেও ভক্তদের জন্য কিন্তু উপহার দিতে ভুলছেন না তিনি। তাঁর বারো গানে বর্ষযাপনের রুটিন মেনে এই মাসের ১২ তারিখ দুর্গাপুজোর গান নিয়ে আসছেন। অদিতির জানালেন, 'এবারের পুজোর গানের ভাবনা একেবারেই আলাদা। ভাবনা থেকে নির্দেশনা সবটাই তন্ময় দা (পণ্ডিত তন্ময় বসু) করেছেন। অনেকটা দুর্গা বন্দনা এই গান। একাধিক যন্ত্রের ব্যবহার করা হয়েছে এই গানে। ফলে সবার ভালো লাগবে বলেই আশা করি।'
পুজোতেও কাজ, ব্যস্ততা। বড় হয়ে যাওয়ার পর ছোটবেলার কোন জিনিসটা সব থেকে বেশি মিস করেন? 'ছোটবেলায় অনেক জামা হতো। অনেক জামা পেতাম। মা আমাদের ভাই বোনদের দুবেলা নতুন জামা পরিয়ে সাজিয়ে দিতেন, আমরা ঘুরতে যেতাম। সেটা খুব মিস করি। এখন তো জামা পাওয়ার সংখ্যা অনেক কমে গিয়েছে।'