আর মুক্তিতে কোনও বাধা রইল না আলিয়া ভাট অভিনীত ‘গঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি’র। আগামিকাল (শুক্রবার) দেশজুড়ে মুক্তির দিন নির্দিষ্ট রয়েছে এই ছবির। তবে এই ছবি নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি তুলছে গঙ্গুবাইয়ের পরিবার। দিন কয়েক আগেই প্রয়াত গঙ্গুবাইয়ের দত্তক পুত্র সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল এই ছবির মুক্তি আটকাতে। পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালির এই ছবিতে অবমাননা করা হয়েছে গঙ্গুবাই-এর, এই ছবি তাঁর পরিবারের জন্য মানহানিকর, এমন দাবি করেছিলেন গঙ্গুবাই-এর পুত্র বাবুরাও।
এই ছবির মুক্তির উপর কোনওরকম নিষেধাজ্ঞা জারি করতে বৃহস্পতিবার অস্বীকার করল দেশের শীর্ষ আদালত। এদিন বনশালির আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টকে জানান, ‘আমরা এমন একটা ছবি নিয়ে আলোচনা করছি, যা এখনও কেউ দেখেনি। সেন্সর সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে ছবিটিকে। তাই এই ছবির মুক্তি আটকানোর জন্য একটা খুব জোরালো কারণের প্রয়োজন’। আইনজীবী সুন্দরম আরও বলেন, ছবিটি দেখে তবেই বিচার করা উচিত সেটি কারুর চরিত্রহনন করেছে কিনা, কিছু অংশ দেখে মন্তব্য অহেতুক। গঙ্গুবাই-কে ‘পাবলিক ফিগার’ বলে দাবি করে বনশালির আইনজীবী বলেন, ‘ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার সেই মানুষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় যিনি একজন পাবলিক ফিগার’।
এর আগে বুধবার ‘গঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি'র নির্মাতাদের এই ছবির নাম পরিবর্তন করবার পরামর্শ দেয় শীর্ষ আদালত। সেই নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি আদালত। গঙ্গুবাইয়ের চার দত্তক সন্তান- বাবুরাও, বেবি, শকুন্তলা এবং রাজন। হুসেন জাইদির লেখা বই ‘মাফিয়া কুইনস অফ মুম্বই’ অবলম্বনে তৈরি হয়েছে এই ছবি। সেখান থেকে জানা যায় নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বাড়ি ছেড়েছিলেন গঙ্গুবাই, তবে প্রেমিকের কাছে ধোঁকা খান তিনি এরপর তাঁকে বিক্রি করে দেওয়া হয় এক যৌনপল্লীতে। তবে অদম্য জেদ আর সাহস নিয়ে হার না মেনে কামাঠিপুরার ‘ম্যাডামজি’ হয়ে উঠেন তিনি।
বার্লিন চলচ্চিত্র উত্সবে আগেই প্রদর্শিত হয়েছে এই ছবি। এবার আম জনতার জন্য প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ‘গঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি’।