বলিউডের ৩ খানের মধ্যে এখন বেশ খাসা সম্পর্ক। একসময় যদিও একে-অপরকে এড়িয়েই চলতেন। শুধু তাই নয়, মিডিয়ায় এ ওর নামে নানা রকমের মন্তব্য করতেও পিছ পা হতেন না। তা সে আমিরের বলা, ‘শাহরুখ আমার পা চাটছে, বলতে ভুলে গেছি শাহরুখ আমার কুকুরের নাম’ কথা হোক। বা আমিরকে ‘ছিছোড়ে’ বলে মন্তব্য করা কিং খানের।
২০১৩ সালে এক সাক্ষাৎকারে শাহরুখ খানকে বলতে শোনা গিয়েছিল, কীভাবে আমির নিজের সব কাজ নিয়ে বড়ই খুঁতখুঁতে। মস্করাও করেন, কীভাবে প্রতিটা কাজের পিছনে থাকে সূক্ষ্ম চিন্তাভাবনা।
পুরনো একটা উদাহরণও টেনে আনেন বাদশা। জানান, একবার দুজনে তাঁরা প্লেনে চেপেছিলেন একসঙ্গে। শাহরুখ ব্ল্যাক কফি অর্ডার করেন, আর আমির দুধ ও চা। এরপর যখন এয়ারহোস্টেস আমিরকে প্রশ্ন করেন, তাঁরা চায়ে দুধ ঢালবেন নাকি, তখন আমির তাঁদের বলেছিলেন চায়ের রং সম্পূর্ণ আসা অবধি অপেক্ষা করতে।
শাহরুখ এরপর আরও একটা ঘটনার কথা বলেন। আমির এসেছিলেন মন্নতে। তিনি চা খেতে চান না কফি তা ঠিক করতে এতটাই সময় নিয়ে নিয়েছিলেন যে, কিং খান ঠাট্টা করে বলেছিলেন, তুমি তাহলে কাল ঠিক কোরো। ততক্ষণ আমরা ঘুরে আসি।
আমিরের শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা লাল সিং চাড্ডা ছবিতে কেমিও করেছেন শাহরুখ খান। সেই সময় কিং খানের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন মিস্টার পারফেকশনিস্ট। তবে একসময় কটাক্ষ কম করেননি একে-অপরকে।
প্রায়ই অ্যাওয়ার্ড ফাংশনে গিয়ে আমিরের অনুপস্থিতি (অ্যাওয়ার্ডে বিশ্বাসী নন আমির, ভাগও নেন না কোনও শো-তে) নিয়ে মস্করা করতে দেখা যেত কিং খানকে। এরপরই ২০০৮ সালে গজনি মুক্তির আগে করে বসেন আমির বড় মন্তব্য। নিজের ব্লগে লেখেন, ‘আমি গাছের তলায় বসে আমার মা আর জুনায়েদের (আমিরের ছেলে) সঙ্গে খেলা করছি। আর শাহরুখ আমার পা চাটছে। আপনারা অনেক কিছু ভাবার আগে বলে দেই শাহরুখ আমার কুকুরের নাম।’
এই বিতর্কে শাহরুখের জবাব ছিল, ‘আমির খানকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই এটা প্রমাণ করে দেওয়ার জন্য যে দেশের সবচেয়ে বড় ব্র্যান্ড এসআরকে। ভারতের সবচেয়ে বড় ব্র্যান্ড শাহরুখ খান।’
পরে এই ‘পা চাটা’ ব্লগ নিয়ে আপ কি আদালতেও মুখ খুলেছিলেন আমির। বলেছিলেন, ‘শাহরুখ অ্যাওয়ার্ড শো-তে গিয়ে আমার নাম নিয়ে নানা ধরনের মজা করে। আমি ভেবেছিলাম ওর হয়তো খারাপ লাগে যে আমি কেন কিছু ঠাট্টা করি না। তাই আমিও একটুি মস্করা করেছিলাম।’