২৫ ফেব্রুয়ারি, রবিবার ৪৩-এ পা দিলেন অভিনেতা শাহিদ কাপুর। স্বামীর জন্মদিনের পর দিন সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় রোম্যান্টির ছবি শেয়ার করেছেন মীরা রাজপুত। মীরার সঙ্গে দীর্ঘ ৯ বছরের বিবাহিত জীবন শাহিদের। দুজনের সোশ্যাল মিডিয়া PDA সকলের নজর কাড়ে।
এ দিন শাহিদের সঙ্গে একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন মীরা। দম্পতি ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে রোম্যান্টিক পোজ দিয়েছেন। অপর জুটি ছবি সূর্য এবং চাঁদের। উড়তা পঞ্জাব অভিনেতাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে মীরা লিখেছেন, ‘শুভ জন্মদিন আমার সূর্য ও চাঁদ। সুন্দর মীন রাশির সূর্য এবং পূর্ণ কন্যা চন্দ্র। মহাবিশ্ব তোমায় আলোকিত করুক’। দেখুন মীরার পোস্ট করা ছবি-
আরও পড়ুন: জন্মদিনেই সম্পর্কে সিলমোহর? ইন্দ্রনীলের বাহুডোরে শ্রীমা, পালটা পাঠালেন ভালোবাসাও
২০১৫ সালে দিল্লিতে মীরার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন শাহিদ। তাঁদের বয়সের ফারাক ছিল মাত্র ১৩ বছরের। ২০১৬ সালেই জন্ম হয় মেয়ে মিশার। এরপর ছেলে জেইন কাপুরের জন্ম হয় ২০১৮ সালে। দিল্লির সদ্য কলেজ পাশ করা মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন শাহিদ। মায়ানগরীর খ্যাতনামা অভিনেতাকে বিয়ে করে অন্য শহরে আসেন মীরা। যত্ন করে নিজের সংসার বুনেছেন। নয় বছরে যে আরও গভীর হয়েছে তাঁদের সম্পর্ক, তা বোঝা যায় তাঁদের ইনস্টাগ্রামের পোস্ট দেখলেই।
সম্প্রতি নেহা ধুপিয়ার চ্যাট শো BFF-এ হাজির হয়ে শাহিদ শেয়ার করেছেন মীরার সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের নানান অধ্যায়। এমনকি মীরার সঙ্গে নিজের দীর্ঘস্থায়ী ঝগড়ার কথাও অকপটে জানিয়েছেন অভিনেতা। BFF-এ কিয়ারা আডবানির সঙ্গে হাজির হয়েছিলেন শাহিদ কাপুর। সেখানেই শাহিদ বলেন, ‘যখন আমার আর মীরার মধ্যে ঝগড়া হয়, তখন সেটা সত্যিই আমায় মানসিকভাবে প্রভাবিত করে। আমার সেটা কাটিয়ে উঠতে সময় লাগে। হয়ত কয়েকমাসে একবার আমরা ঝগড়া করি। দৈনন্দিন নানান বিষয় নিয়ে আমাদের ঝগড়া হয়। আবার কখনও সেই ঝগড়া দীর্ঘস্থায়ীও হয়। কখনও কখনও টানা ১৫ দিন আমাদের ঝগড়া চলে।’ শাহিদ অবশ্য জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন কথা বন্ধ থাকার পর নিজেদের মধ্য কথা বলে সমস্যা মিটিয়ে ফেলেন।
প্রসঙ্গত, শাহিদ-মীরার বিয়ে মূলত অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ ছিল। প্রথমবার দেখেই মীরাকে পছন্দ হয়েছিল শাহিদ কাপুরের। তবে শাহিদকে হ্যাঁ বলতে প্রায় ছয় মাস সময় নিয়েছিলেন মীরা। শাহিদ-মীরার বয়সের পার্থক্য প্রায় ১৩ বছর।
কাজের ক্ষেত্রে শাহিদ কাপুরকে শেষবার কৃতি শ্যাননের বিপরীতে ‘তেরি বাতোঁ মে অ্যায়সা উলঝা জিয়া’ ছবিতে দেখা গিয়েছে। ছবিটি বক্স অফিসে দুর্দান্ত পারফর্ম করে এবং মাত্র দশ দিনে বিশ্বব্যাপী ১০০ কোটি আয় করে ফেলেছে ছবিটি।