কঙ্গনার অধ্যাবসায় ও কঠোর পরিশ্রমকে কুর্নিশ করেন পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী। পরিচালকের অভিনন্দনের পরই সদ্য জাতীয় পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত নিজের প্রশংসা নিজের প্রশংসায়। দু’জনই এই সপ্তাহের শুরুতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছিলেন।
পরিচালক টুইটারে কঙ্গনার 'অদম্য শক্তি' কে প্রশংসা করেন এবং বলেন এর জন্য তাঁকে একটি পুরস্কার দেওয়া উচিত। তিনি লিখেছেন, ‘আমি মনে করি কঙ্গনার অদম্য শক্তি, অবিরাম কাজ করে চলার ক্ষমতা, করোনা কালে একের পর এক আশ্চর্যজনক ছবি করার জন্য একটি পুরস্কার পাওয়া উচিত। জয়লালিতা থেকে এয়ার ফোর্সে অভিনয় কল্পনা করুন... !এই রকমই জীবনে করে মরতে হবে। অনেক তরুণ অভিনেতার অবশ্যই তাঁর কাছ থেকে শেখা উচিত’।
কঙ্গনা রি-টুইট করে লেখেন, ‘আমি একটি অবাঞ্ছিত কন্যা সন্তান ছিলাম। আজ আমি সেরা এবং উৎসাহী পরিচালক, শিল্পী এবং প্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে কাজ করি। আমি আমার কাজকে ভালোবাসি, অর্থের জন্য নয়, খ্যাতির জন্য নয়। যখন বিশ্বের সবাই আমার দিকে তাকায় এবং বলে ‘একমাত্র তুমিই এটা করতে পারো’ আমি জানি আমি হয়ত অবাঞ্ছিত ছিলাম, তবে আমার প্রয়োজন রয়েছে। অনেকটা রয়েছে (লাল হৃদয় ইমোজি)’।
প্রসঙ্গত, কঙ্গনা জানিয়েছেন, পরিবারের প্রথম সন্তান হওয়ার জন্য তাঁর দিদি রাঙ্গোলি চান্দেলের জন্মর সময় গোটা পরিবার উদযাপন করেছিলেন। তাঁর আগে তাঁদের দশ দিনের পুত্র সন্তান মারা গিয়েছিল। যাই হোক, কঙ্গনা বাড়ির দ্বিতীয় কন্যা সন্তান হওয়ায়, সেটা কোনো উদযাপনে পরিণত হয়নি। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, ‘আমি যখন জন্মেছিলাম, আমার বাবা-মা, বিশেষ করে আমার মা, কোনো মতেই মেনে নিতে পারছিলেন না দ্বিতীয় সন্তানও মেয়ে হয়েছে। এই গল্পগুলো আমি বেশি করে জানি কারণ, প্রত্যেকবার বাড়িতে যখন কোনো অনুষ্ঠান হত অথবা সবাই এক জায়গায় সামিল হত, এই গল্পটাই বারবার বলত, যে আমি পরিবারের অবাঞ্ছিত মেয়ে’।
অর্জুন রামপাল এবং দিব্যা দত্তের সঙ্গে আপতত মধ্যপ্রদেশে ধাকড়-এর শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত কঙ্গনা। শীঘ্রই মুক্তি পেতে চলেছে তাঁর আগামী ছবি থালাইভি এবং তেজস। আগামী ২৩ এপ্রিল মুক্তি পাচ্ছে থালাইভি। এছড়াও মনিকর্ণিকার সিক্যুয়াল এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর বায়োপিক রয়েছে তাঁর পরবর্তী প্রোজেক্ট।