অগস্ট মাসেই ঘোষিত হয়েছিল ৬৯তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপকদের তালিকা। সিনে দুনিয়ার একাধিক জনপ্রিয় মুখ আলিয়া ভাট, কৃতি শ্যানন, আল্লু অর্জুন, এস এস রাজামৌলি, এম এম কিরাবাণী চলচ্চিত্র পুরস্কার গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে।
১৭ অক্টোবর ২০২৩, এদিন নয়া দিল্লির বিজ্ঞানভবনে বসেছিল পুরস্কারের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান। দেশের শীর্ষস্থানীয় মহিলা গায়িকাদের অন্যতম হিসেবে সমাদৃত শ্রেয়া ঘোষাল। প্লেব্যাক গায়িকা হিসেবে পঞ্চম জাতীয় পুরস্কার গ্রহণ করলেন তিনি। ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু শ্রেয়া ঘোষালের হাতে এই পুরষ্কার তুলে দেন। ম্যায় তেনু সামজাওয়ান কি, মানওয়া লাগে এবং আরও অনেক গানে কণ্ঠ দেওয়ার জন্য পরিচিত শ্রেয়া।
পঞ্চম জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন শ্রেয়া ঘোষাল
রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণের একটি ভিডিয়ো ইনস্টাগ্রামের পাতায় শেয়ার করেছেন শ্রেয়া। তামিল ছবি 'ইরাভিন নিজহাল'-এর 'মায়াভা চায়াভা' গানের জন্য শ্রেষ্ঠ গায়িকা হিসেবে পুরস্কার পান তিনি।
এ দিন গায়িকাকে টুকটুকে লাল সাটিনের উপর জারদৌসী কাজের শাড়িতে দুর্দান্ত দেখাচ্ছিল। বিশেষ অনুষ্ঠানের জন্য এই শাড়ি বেছে নিয়েছিলেন গায়িকা। শ্রেয়া একটি ম্যাচিং লাল-টোনড ব্লাউজের সঙ্গে শাড়িটি পরেছিলেন। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে গায়িকা লিখেছেন, ‘ঈশ্বর আমার প্রতি সদয়। দ্রৌপদী মুর্মু জি আজ তুলে দিলেন জাতীয় পুরস্কার। এই সম্মানের জন্য কৃতজ্ঞ..’।
শ্রেয়া ঘোষালের জাতীয় পুরস্কারের তালিকা
২০০৩ সালে 'দেবদাস' ছবির 'বৈরি পিয়া' গানের জন্য প্রথম জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন শ্রেয়া ঘোষাল। এরপর 'পহেলি' ছবির 'ধীরে জ্বলনা' গানের জন্য ও 'জব উই মেট' ছবির 'ইয়ে ইশক হায়ে' গানের জন্য জাতীয় পুরস্কার পান তিনি। এরপর ২০১০ সালেও তিনি জাতীয় পুরস্কার পান, তবে একটি নয় দুটি গানের জন্য। মরাঠি ছবি 'জোগভা'র গান 'জিভ ডাংলা'র জন্য ও বাংলা ছবি 'অন্তহীন'-এর 'ফেরারি মন' গানের জন্য জাতীয় পুরস্কার পান গায়িকা।