ছোট পর্দার অভিনেত্রীদের মধ্যে ভীষণ জনপ্রিয় শ্রুতি দাস। বর্তমানে তাঁকে দেখা যাচ্ছে ‘রাঙা বউ’ ধারাবাহিকে। ভালো রেটিং নিয়ে সেরা দশে পাকাপোক্ত জায়গা করে রেখেছে এই সিরিয়াল। শ্রুতির বিপরীতে রয়েছেন অভিনেতা গৌরব রায় চৌধুরী। তবে এই ধারাবাহিকেই কিন্তু অভিনেত্রীকে পরিচালনা করছেন স্বামী স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার। যদিও এই ধারাবাহিক প্রথম আলাপ নয় তাঁদের। সেই ত্রিনয়নী-তে কাজ করতে গিয়ে আলাপ। পরিচালকের প্রেমে পড়েন শ্রুতি প্রথমে। তাঁর দিক থেকেই এসেছিল প্রস্তাব। বেশ খানিকটা সময় নিয়ে হ্যাঁ করেছিলেন স্বর্ণেন্দু।
জুলাই মাসে আইনি বিয়ে হয় শ্রুতি আর স্বর্ণেন্দুর। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের নাম বদলে শ্রুতি দাস সমাদ্দারও করে ফেলেন রাতারাতি অভিনেত্রী। প্রায় মাঝ রাতেই বিয়ের প্রথম ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেন তিনি। একটি ওয়েডিং কেকের ছবি শেয়ার করে অভিনেত্রী লেখেন ‘মিস থেকে মিসেস হলাম’। খুব ছিমছাম সাজে দেখা গিয়েছিল দুজনকে। সাদা ঢাকাই জামদানি বেছে নিয়েছিলেন। যাতে সরু লাল রঙের পার। আর সাদা রঙের পঞ্জাবি ছিল স্বর্ণেন্দুর। সোনার বদলে রুপোর গয়না পরে রেজিস্ট্রি করেন শ্রুতি। রেজিস্ট্রির পাশাপাশি হয়েছিল আংটি বদল, সিঁদুর দানও।
আইনি বিয়েটা গোপনে হলেও, সামাজিক বিয়েটা বেশ ধুমধাম করেই করার পরিকল্পনা আছে তাঁদের। রেজিস্ট্রির পর মিনি হানিমুন করে এলেও, এখনই শ্বশুরবাড়িতে থাকছেন না শ্রুতি। এরই মাঝে ফুল সাজানো বিছানায় বসে ছবি দিলেন সোশ্যাল মিডিয়াতে। যা দেখে অনেকের মনেই প্রশ্ন, বিয়ের ৩ মাস পর হানিমুন হচ্ছে নাকি?
আসলে ব্যাপারটা মোটেও তেমন নয়। জন্মদিনের সেলিব্রেশন হল এমন ভাবে। মন্দারমণির এক হোটেলে এই বিশেষ আয়োজন করা হয়েছিল শ্রুতির জন্য। মাথার উপরে বেশ বড় বড় করে বেলুনে লেখাও আছে ‘হ্যাপি বার্থ ডে’।
শ্রুতি-স্বর্ণেন্দু কখনোই তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে বিশেষ রাখঢাক করেননি। দুজনের বয়সের ফারাকের জন্য মাঝে মধ্যেই তাঁদের কটাক্ষের মধ্যে পড়তে হয়েছে বটে কিন্তু তাতে বিশেষ পাত্তা দেননি সেসবে।
বউকে নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ থাকেন স্বর্ণেন্দু সবসময়। দিনকয়েক আগে এক বাংলা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘শ্রুতি ভীষণই পরিণত একজন মানুষ। ১৯ বছরের কেরিয়ারে আমি বহু অভিনেত্রীর সঙ্গে কাজ করেছি, তবে কাজের বাইরে বন্ধুত্বের কথা কখনও মাথাতেই আসেনি। শ্রুতির সঙ্গে বন্ধুত্বটা গভীর হয়েছিল, আর তার থেকেও বড় কথা আমার মনে হয়েছিল, মেয়েটা আমার সঙ্গে কাটাতে চায়। এই ভরসাটুকু পাওয়া জরুরি। এটা আগে কখনও কাউকে দেখে মনে হয়নি।’