‘খতরো কে খিলাড়ি ১১’তে অংশগ্রহন করেছেন শ্বেতা তিওয়ারি। শুক্রবারই গোটা টিম রওয়ানা দিয়েছেন কেপ টাউনের উদ্দেশ্যে। টিমের সঙ্গে দেশ ছেড়েছেন শ্বেতাও। তারপরই শনিবার শ্বেতার প্রাক্তন স্বামী অভিনব কোহলির দুটো ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। যেখানে তিনি দাবি করেছেন, ছেলেকে মুম্বইয়ের এক হোটেলে রেখে চলে গিয়েছেন শ্বেতা। সকাল থেকে তিনি সমস্ত হোটেলে খোঁজ নিয়ে চলেছেন। এমনকী, দ্বারস্থ হয়েছেন চাইল্ড কেয়ারেরও।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নিমেষে ভাইরাল হয় অভিনব কোহলির শেয়ার করা এই ভিডিয়ো। মাত্র ৫ বছরের ছেলের সঙ্গে এরকম ব্যবহার করায় নেটিজেনদের রোষের মুখেও পড়তে হয় শ্বেতাকে। তারপরই এক সংবাদমাধ্যমের তরফে যোগাযোগ করা হয় শ্বেতা তিওয়ারির সঙ্গে। অভিনবের এই অভিযোগ নিমেষে খারিজ করে দিয়েছেন অভিনেত্রী।
শ্বেতা জানিয়েছেন, ‘ছেলে রেয়াংশ আমার মা ও আমার পরিবার ও আমার মেয়ে পালকের সঙ্গে আছে। এমনকী, অভিনবকে সে ব্যাপারে জানানো হয়েছে। কিন্তু ও বারবার আমার কাছে ঠিকানা জানতে চাইছে। যা বলতে আমি রাজি হইনি। যাতে আমার অনুপস্থিতিতে অভিনব আমার পরিবারকে বিরক্ত করতে না পারে।’
শ্বেতা আরও জানান, ‘এমনকী আমি ছেলেকে নিজের সঙ্গে কেপটাউনে নিয়েও আসতে চেয়েছিলাম। শোয়ের নির্মাতারা আমার ছেলের ও ন্যানির বিমান ভাড়া দিতেও রাজি হয়েছিল। শুধু মায়েরটা আমাকে দিতে হত। কিন্তু আমাকে ছেলেকে নিয়ে দেশ ছাড়তে গেলে অভিনবের অনুমতি নিতে হত। থার জন্য আমি ওকে ফোনও করেছিলাম। কিন্তু ও রাজি হয়নি। এখন এরকম গুজব কেন ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে আমি সত্যি জানি না।’
এর আগেও ছেলে রেয়াংশের কাস্টেডি নিয়ে ঝামেলায় জড়াতে দেখা গিয়েছে শ্বেতা ও অভিনবকে। কোর্টের তরফে ছেলের কাস্টেডি দেওয়া হয়েছে শ্বেতাকে। সঙ্গে অভিনবকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে প্রতিদিন আধ ঘণ্টা করে ছেলের সঙ্গে ফোনে কথা বলার।