আস্ত একটা গান চুরির অভিযোগ! যে গান খোদ শিলাজিৎ লিখেছেন, বানিয়েছেন সেই লাল মাটির সরানে গানকেই এখন অনেকেই প্রচলিত গান বলে চালিয়ে দিচ্ছেন বলেই অভিযোগ করলেন গায়ক। জানালেন অনেকেই নাকি সৌজন্যে তাঁর নাম দিচ্ছেন না। বিষয়টা নাকি অনেকদিন ধরেই চলছে বলেও অভিযোগ করেন শিলাজিৎ। এতদিন পর অবশেষে তিনি কলম ধরলেন। ভক্তদের অনুরোধ করলেন তাঁর এই বার্তা সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য।
কী লিখলেন শিলাজিৎ?
এদিন শিলাজিৎ লেখেন, ‘দু হাজার চার। আজ থেকে উনিশ বছর আগে এই অ্যালবামটা রিলিজ করেছিল। এতে যেমন ভবা পাগলার গান ছিল, তেমন পাঁকাল খ্যাপার গান ছিল, প্রচলিত গান ছিল, তেমনই সুনীল মাহাতোর বতরে পিরিতি ফুল ফোটে গানটিও ছিল। অরুণ মজুমদার এর ওস্তাদ ছিল। আর আমার লেখা এবং সুর করা টাইটেল ট্র্যাক লাল মাটির সরানেও ছিল। লাল মাটির সরানে এই গানটা আমার নিজের তৈরি করা, প্রচলিত নয়। আমি অবাক হয়ে গেলাম দেখে যে কেউ কেউ এই গানটা গেয়ে প্রচলিত বলে ছাপ মেরে পাবলিশ করছে নিজের চ্যানেল থেকে। এই গানটার মধ্যে সাঁওতালি ভাষাতে যে দু লাইন রয়েছে- এ দুলৌর ময়না..আমা ওরা ওকারে এ দুলোর ময়না তিগুন মেসেনা লিখে দিয়েছিলেন নরেন হাঁসদা, সেটুকুও প্রচলিত নয়।’
তিনি আরও লেখেন, ‘আমি কোনও রকম স্টেপ নিচ্ছি না আপাতত, কিন্তু এটা না থামলে আমার শ্রোতারা যাঁরা খুব ভালো করে জানেন এই গানটা আমার বাপেরও না, গানটা আমার নিজের তখন তাঁরাই যা বলার বলবেন। হাজার চেষ্টা করেও যেমন বোঝাতে পারবেন না x=প্রেম এই শব্দ বন্ধ আমার মস্তিষ্কপ্রসূত, ঠিক তেমনই এই গানটাতে বাঙালি শ্রোতারা প্রচলিত ছাপ মারাটা মানবেন না।’
আরও পড়ুন: ‘আমাদের পাঁচটা শো-র টাকা তুমি একটায় নাও’, শিলাজিতকে অভিযোগ ইমনের, কী জবাব এল?
শিলাজিৎকে সমর্থন করে কী লিখলেন রূপম ইসলাম?
রূপম এদিন তাঁর বন্ধু, সহকর্মীকে সমর্থন করে লেখেন, ‘এ আবার কী? লাল মাটির সরানে শিলাজিতের অরিজিন্যাল গান। একে প্রচলিত ছাপ দেওয়া অত্যন্ত অন্যায়। অনুরোধ, শিলাদার পোস্টটি পড়ুন। ছড়িয়ে দিন।’
প্রসঙ্গত লাল মাটির সরানে গানটি একটি অতি জনপ্রিয় লোকসঙ্গীত। কিন্তু অনেকেই জানতেন না যে এটি শিলাজিতের লেখা আদতে। এবার সেটা স্পষ্ট হয়ে গেল।