সংগীতের দুনিয়ার উজ্জ্বল নক্ষত্র অভিজিৎ ভট্টাচার্য। সম্প্রতি বলিউডে 'সত্যিকারের দেশপ্রেমিক' হওয়ার জন্য তিনি যে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন তা নিয়ে মুখ খুলতে দেখা গেল তাঁকে এক সাক্ষাৎকারে। কথা প্রসঙ্গে উঠে এল, ইন্ডাস্ট্রির ভিতরের দ্বিচারিতা আর ভণ্ডামি।
নিজের দেশপ্রেমিক স্বভাবের জন্য কার্যত দুঃখ প্রকাশই করতে দেখা গেল তাঁকে। অভিজিৎ মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘আমি এখনও আমার বোকামিতে হাসি। আমার ভুল বর্ণনা করার জন্য একটা লাইন বলতে পারি, ‘দেশপ্রেমিক হওয়ার ভান করো, কিন্তু সত্যিকারের দেশপ্রেমিক হয়ে উঠো না’। কিছু তথাকথিত দেশপ্রেমিক এই কাজ করার জন্য অর্থ প্রদান করা হচ্ছে এবং আমি এই শিল্পে একমাত্র দেশপ্রেমিক হওয়ার জন্য একটি ভারী মূল্য দিয়েছি।’’ এরপরই, বলিউডে প্রকৃত দেশপ্রেমের অভাবের সমালোচনা করেন তিনি। সেখানকার শিল্পীরা কতটা ডবল স্ট্যান্ডার্ড তা নিয়েও মুখ খুলতে দেখা যায় তাঁকে।
আরও পড়ুন: ৩৭ পেরিয়েও অবিবাহিত! সদ্যোজাত কোলে পিসি সরকার-কন্যা মুমতাজ, অভিযোগ ‘বড্ড দুষ্টু’
অভিজিৎ এমন উদাহরণও তুলে ধরেছেন যেখানে একজন ব্যক্তির দেওয়া বিবৃতি অন্যদের উপহাস বা বিরোধিতার বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষত রাজনৈতিক প্রসঙ্গ।
আরও পড়ুন: বসেছেন মাটিতে, থালায় সাদা ভাত! বিজেপিতে যোগ দিয়ে হাল বদলে গেল কঙ্গনা রানাওয়াতের
গায়ক বললেন, ‘বলিউডে কোন পুরুষই দেশপ্রেমিক নয়। এখানে একজন স্বামী কিছু বলে, আর স্ত্রী সংসদে গিয়ে মজা করে। কেউ যদি রামলালাকে দেখতে যায়, তাহলে একই দলের স্ত্রী, রামজিকে গালাগালি দেয়। তাই টাকা দিয়ে কাউকে দেশপ্রেমিক বানাবেন না। এই প্রক্রিয়ায় আমি টাকা এবং আরও অনেক কিছু হারিয়েছি’।
আরও পড়ুন: বাগদান করেও করেননি বিয়ে! ৫ বছর পর ফের আংটি বদল হল প্রিয়াঙ্কার ভাইয়ের, কে পাত্রী
৯০ দশকে একসময় বলিউডে রাজত্ব করেছেন গায়ক অভিজিৎ। এমনিতে সেই সময় বলিউডের সেরা প্লেব্যাক জুটি ছিলেন অলকা ইয়াগনিক এবং উদিত নারায়ণ। তবে সেখানে পাল্লা দিয়ে যাচ্ছিল আরও এক গায়কের কণ্ঠ। তাঁরই নাম অভিজিৎ ভট্টাচার্য। 'তুমহে যো মেইনে দেখা' বা ‘মে কোয়ি এইসা গীত গায়ু ‘, 'ওয়াদা রহে সনম', 'তুম দিল কি ধরকন মে' -র তালে মুগ্ধ হননি এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে, বাদশা, চলতে চলতে, মে হু না, জোশ একাধিক সিনেমায় গান গেয়েছেন।