২০২৩ সালের শেষেই নন্দিনী গাঙ্গুলীর বিয়ে করতে চলেছেন এমন খবর মিলেছিল। সেই সময় বর রুদ্র দাসের সঙ্গে পরিচয়ও করিয়ে দিয়েছিলেন। নিশ্চয়ই বুঝে গিয়েছেন কোন নন্দিনীর কথা হচ্ছে! ঠিকই ধরেছেন, এ হল পাইস হোটেল চালানো নন্দিনী। যিনি দিনকয়েক আগেই নিজের ডালহৌসির হোটেলের পাশাপাশি আরও একটি দোকান খুলেছেন নিউটাউনে। সেটির নাম রেখেছেন, ‘নন্দিনীদির হেঁশেল’।
ফেসবুকে নন্দিনীর একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। যেখানে ফাঁস হল, ইতিমধ্যেই বিয়ের পিঁড়িতে বসে পড়েছেন। তবে আইনি মতেই এক হয়েছে চার হাত। ভাইরাল স্মার্ট দিদিকে বলতে শোনা গেল, ‘আমরা দুজন যখন বিয়ের সিদ্ধান্ত নেই যে আইনত স্বীকৃতি দেব সম্পর্ককে, তখন আমার বাড়ির লোক বলেছিল, এখনই বিয়ে করবি, কেমন হবে না হবে!’
‘তবে এতদিনের সম্পর্ক। আমার বিশ্বাসই ছিল ও আমাকে সাপোর্ট করবে। এতদিন একটা পিলার ছিল পিছনে। এখন দুটো পিলার রয়েছে। আমার কাছে সব ব্যাপার আরও সহজ হয়েছে। মাঝে মাঝেই দেখবি আমার সঙ্গে আমার শাশুড়িও রয়েছে।’, বলতে শোনা গেল নন্দিনীকে।
আরও পড়ুন: ‘আপনি যে পুছবে, আমি জবাব দেবে’, সারেগামাপা-খ্যাত সোনিয়ার বাংলা শুনে তাজ্জব রচনা
প্রশংসায় পঞ্চমুখ নন্দিনী জানালেন, শাশুড়ি বাড়ি থাকলে তিনি কুটোটাও নাড়ে না। আর শাশুড়ি কোথাউ গেলেই নাকি খাটিয়ে মারে বর রুদ্র। ‘শাশুড়ি থাকলে বর আর শাশুড়ি বাড়ির কাজের লোক হয়ে যায়, আমি রানি হয়ে যাই। আমি বাড়িতে ছখন ঢুকি, ঠিক সিনেমায় যেমন দেখায় না জুতো ছুড়ে ছুড়ে মারছে। ওরকম। ঘরে পরার জুতো সাজিয়ে রাখে। আমি বাইরেরটা ছেড়ে ওটা পরে ঘরে ঢুকি।’
আরও পড়ুন: মমতার কথা রাখলেন না কবীর সুমন! ১০ দিন হওয়ার আগেই হাসপাতাল থেকে ফিরলেন বাড়ি
এই ভিডিয়ো সামনে আসতেই কটাক্ষে নন্দিনীর শব্দচয়ন। বিশেষ করে মায়ের বয়সী একজন মানুষের জন্য যে ধরনের কথা তিনি বলেছেন। একজন কমেন্টে লিখলেন, ‘আপনার মতন মেয়ে, শাশুড়িকে যিনি শাশুড়ি মা অবধি বলেন না, তিনি যে শাশুড়িকে কাজের লোক বানিয়ে রাখবেন, এটাই স্বাভাবিক। নিজের মুখে না বলে দিলেও লোকে বুঝতে পারে..’। অপরজন লিখলেন, ‘এর লজ্জা করে না’!
আরও পড়ুন: মায়ের জন্য প্রেমিকা টিকছে না বিক্রমের! করলেন দাদাগিরিতে সৌরভের কাছে দুঃখপ্রকাশ
নিউটাউনের হোটেলটি নন্দিনী খুলেছেন জানুয়ারি মাসেই। সকাল থেকে রাত, যে কোনও সময় গেলেই এই ভাইরাল দিদির দোকান থেকে খাবার খাওয়ার সুযোগ মিলবে। সাধারণ ভাত-ডাল-ডিম-মাছ তো আছেই, পাওয়া যায় পোলাও-মটনের মতো খাবারও। নন্দিনী জানিয়েছেন, কলকাতা জুড়ে নাকি খাবার দোকান খোলার স্বপ্ন রয়েছে তাঁর। বেশ কিছু দোকানের কথাও এগিয়েছে অনেকখানি।