বছরের একদম শেষলগ্নে এসে চমক স্টার জলসার। ডিসেম্বরের গোড়াতেই প্রকাশ্যে এসেছিল ‘চিনি’র প্রোমো, এবার জানা গেল এই মেগার সম্প্রচারের দিনক্ষণ। কিন্তু কথাতেই আছে কারুর পৌষ মাস তো কারুর সর্বনাশ। সোমরাজ-ইন্দ্রাণীর রহস্যে মোড়া সিরিয়ালকে জায়গা করে দিতে বন্ধ হচ্ছে ‘তুঁতে’।
দু-সপ্তাহ আগেই সিরিয়ালে এন্ট্রি নিয়েছে নতুন নায়ক। কিন্তু তাতেও শিকে ছিঁড়ল না। দীপান্বিতা রক্ষিত এবং সৈয়দ আরেফিন অভিনীত এই মেগার সদ্যই স্লট বদল হয়েছিল। কথা-র আগমনে সন্ধ্যার স্লট থেকে ঠেলে রাত ১০.৩০টায় পাঠানো হয় তুঁতে-কে। ওদিকে সিরিয়াল থেকে সরে দাঁড়ান নায়ক। আর মাস ঘুরতে না ঘুরতেই এবার পাকাপাকি বন্ধ হচ্ছে এই সিরিয়াল বলেই খবর। যার জেরে হতাশ গৌরব মণ্ডলের ভক্তরা। প্রসঙ্গত, গত জুন মাসে শুরু হয়েছিল এই মেগা।
তুঁতে-তে আইপিএস সিদ্ধার্থের চরিত্রে দেখা যাচ্ছে গৌরবকে। সেই চরিত্রের মেয়াদ যে এত অল্পদিনের হবে, সেটা দুঃস্বপ্নেও ভাবেনি কেউ। এখন প্রশ্ন হল কবে থেকে শুরু হচ্ছে চিনি? আগামী ১২ই জানুয়ারি থেকে রাত ১০.৩০টার স্লটে শুরু হচ্ছে এই মেগা। অর্থাৎ এক মাসের মধ্য়েই তিনটি মেগা সম্প্রচারিত হবে এই স্লটে! গাঁটছড়া শেষ হওয়ারপর সেই জায়গা নিয়েছিল তুঁতে, আর নতুন বছরের ১২ তারিখ সেই স্থান নেবে চিনি।
‘জিয়নকাঠি’র পর চিনির হাত ধরেই ছোটপর্দায় ফিরছেন সোমরাজ মাইতি। সঙ্গী ‘খেলনা বাড়ি’র গুগলি অর্থাৎ অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী ভট্টাচার্য। ‘প্রেম,প্রতিজ্ঞা, রহস্য’ নিয়ে আসছে এই ধারাবাহিক। চিনি প্রযোজনা করছে মিসিং স্ক্রু প্রোডাকশন। রায়চৌধুরী বাড়ির ছেলে দ্রোণ আর তাঁদের ড্রাইভারের মেয়ে চিনির প্রেমকে ঘিরেই এগোবে মেগা।
কেমন হবে চিনি-র গল্প?
মা মরা মেয়ে চিনি। বাবা রায়চৌধুরী বাড়িতে ড্রাইভারের কাজ করে। নিয়তির টানে রায়চৌধুরী বাড়িতে হাজির চিনি। প্রথমবার রায়চৌধুরীদের রাজপ্রসাদ চাক্ষুস করে চোখ ছানাবড়া তাঁর। অথচ বাড়ির মালকিন (সোহাগ সেন) বেশ ক্ষুদ্ধ চিনি সে বাড়িতে পা দেওয়ায়। তাঁর প্রশ্ন, ‘আমার বারণ সত্ত্বেও ওই ড্রাইভারের মেয়েকে এই বাড়িতে আসার অনুমতি কে দিল?’ জানতে পারেন নাতি দ্রোণের অনুমতি নিয়েই চিনি হাজির সেখানে।
রায়চৌধুরী বাড়ির কর্ত্রীর পায়ে হাত দিতে গিয়ে আচমকাই ঘাবড়ে যায় চিনি। যে গাড়ি চড়ে সে এই বাড়ির দরজায় এসে পৌঁছেছিল, সেই গাড়ি আগুনে পুড়ে যাচ্ছে এমন দৃশ্য ভেসে ওঠে তাঁর চোখের সামনে। গাড়ির ভিতরে বিয়ের সাজে এক যুবতী প্রাণে বাঁচার অপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। তাঁর মুখ স্পষ্ট নয়। চমকে উঠে চিনি। তাহলে কি চিনি জাতিস্মর নাকি ভবিষ্যৎ দ্রষ্টা? সেই রহস্যের জট খুলবে সিরিয়াল শুরু হলে।
‘গাড়িতে আগুন, ও যে পুড়ে যাচ্ছে…’, এমন চিৎকার করতে করতে বাইরে ছুটে যায় চিনি। তখনই সেখানে এন্ট্রি গল্পের নায়ক দ্রোণ অর্থাৎ সোমরাজের। চিনিকে থামিয়ে, তাঁর প্রশ্ন- ‘গাড়ি পুড়ে গেলে তুমি এই গাড়িতে করে এলে কী করে!’ ঘোর কাটে চিনির। সে দেখে গাড়ি অক্ষত অবস্থায় ওঁর চোখের সামনে দাঁড়িয়ে। মনে মনে প্রশ্ন জাগে- ‘তাহলে আমি ভুল দেখলাম?’
পরাবাস্তব বা অলৌকিকতার চাহিদা ছোটপর্দায় বরাবরের। সাহানা দত্ত সম্প্রতি স্টার জলসার জন্য তৈরি করেছিলেন ‘পঞ্চমী’, সেখানেও নাগিন আর পুর্নজন্মের গল্প। বর্তমানেও ‘আলোর কোলে’ বা ‘তুমি আশে পাশে থাকলে’র মতো মেগা ধারাবাহিক চলছে, যার কেন্দ্রে রয়েছে অলৌকিকতা। এই গল্পের কি সেই ছোঁয়া থাকবে? উত্তর মিলবে আর কয়েকদিন পরেই।