সোনু সুদ সম্প্রতি তাঁর সাহায্যের হাত বিহারের প্রিয়াঙ্কা গুপ্তার উদ্দেশ্যে বাড়িয়ে দিলেন। প্রিয়াঙ্কা গুপ্তাকে সকলে তাঁর নামের থেকে বেশি অন্য আরেকটি নামে চেনে, ‘গ্র্যাজুয়েট চায়েওয়ালি’। তিনি বিহারের পাটনা অঞ্চলে একটি চায়ের দোকান চালাতেন। কিন্তু তিনি এই চায়ের দোকান খোলার কিছু মাস পর পাটনা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন তাঁর এই দোকান বন্ধ করে নেয়। তিনি নাকি জবরদখল করে এই দোকান করেছিলেন। এরপরই প্রিয়াঙ্কা সোশ্যাল মিডিয়ায় সকলের থেকে সাহায্য প্রার্থনা করে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন। আর সেই ভিডিয়োই ভাইরাল হয়ে যায়।
ইকোনোমিক্সে গ্র্যাজুয়েশন করে পাটনা ওমেন্স কলেজের কাছে এই চায়ের দোকান চালাতেন প্রিয়াঙ্কা। চলতি বছরের শুরুর দিকেই তিনি এই দোকান খোলেন। গ্র্যাজুয়েশন করার পর দু'বছর চেষ্টা করেও যখন তিনি কোনও চাকরি পান না তখন এই দোকানটি খোলেন তিনি। গত সপ্তাহে তিনি একটি ভিডিয়ো বানিয়ে সেটা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। তাঁর কথা অনুযায়ী পাটনায় বহু অবৈধ দোকান চলে, কিন্তু যেহেতু তিনি একজন মেয়ে হয়ে এই ব্যবসা করতেন সেহেতু তাঁর দোকানটাকেই টার্গেট করা হয়েছে।
নিউজ ১৮ এর তরফে এই ভিডিয়োটি টুইটারে শেয়ার করা হয়। আর সেখানেই প্রিয়াঙ্কাকে কাঁদতে দেখা যায়। তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমি বিহারে অন্য ধরনের কিছু করতে চেয়েছিলাম। মানুষজনও আমাকে সাহায্য করছিল, সাপোর্ট করছিল এই বিষয়। কিন্তু এটা তো বিহার! এখানে মহিলাদের জায়গা রান্নাঘরেই আবদ্ধ। মেয়েরা নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য এগোতে পারে না। তাঁদের এগোতে দেওয়া হয় না। পাটনা জুড়ে নানান অবৈধ দোকান, ব্যবসা চলে, মদ বিক্রি হয়। তখন সেটা কারও নজরে পড়ে না। কিন্তু যেই একটা মেয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাইছে, ব্যবসা করতে চাইছে তখনই যত সমস্যা দেখা দিতে শুরু করল।' তিনি আরও জানান, 'আমার কাজ রান্না করা, ঘর মোছা, নিয়ে করে সংসার করা। কিন্তু ব্যবসা করার কোনও অধিকার আমার নেই।'
সোনু সুদ এরপর টুইট করেন, এবং তাতে লেখেন, 'প্রিয়াঙ্কার চায়ের দোকানের সমস্ত ব্যবস্থা হয়ে গিয়েছে। এখন আর কেউ তাঁকে সরে যেতে বলবে না। আমি নিজে খুব জলদি বিহার আসব আর তোমার বানানো চা খাবো।'
অন্যদিকে প্রিয়াঙ্কাও সম্প্রতি একটি ছবি পোস্ট করেছেন ইনস্টাগ্রামে, সেখানে তিনি লিখেছেন যে তাঁর প্রথম দোকান বিহারের গোপালগঞ্জে খুলতে চলেছেন এছাড়া তিনি যে আগামী দিনে বৈশালীতেও আরও একটি দোকান করতে চান, সেই ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন। তাঁর এই পোস্ট দেখার পর অনেকেই তাঁকে অনুরোধ করেছেন যে তিনি যে বিহারের বিভিন্ন অংশে এই দোকানের ফ্র্যাঞ্চাইজি খোলেন।