বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Sooraj Pancholi: সিদ্ধি বিনায়ক থেকে দিল্লির গুরুদোয়ারা, জিয়া মামলায় মুক্তির পর ধর্মে মতি সূরজের!

Sooraj Pancholi: সিদ্ধি বিনায়ক থেকে দিল্লির গুরুদোয়ারা, জিয়া মামলায় মুক্তির পর ধর্মে মতি সূরজের!

সূরজ পাঞ্চোলি

আদালতের রায়ে বেকসুর খালাস হওয়ার পরদিনই সূরজ ছুটে গিয়েছিলেন মুম্বইয়ের বিখ্যাত সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে।  এবার সূরজ পৌঁছলেন দিল্লির খ্যাতনামা বাংলা সাহেব গুরুদুয়ারায়। গুরুদুয়ারার ঝিলেন ধারে দাঁড়িয়ে প্রণাম করার ছবি নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন সূরজ। 

দীর্ঘ ১০ বছরের অপেক্ষা…। সম্প্রতি জিয়া খান মামলায় সম্প্রতি বেকসুর খালাস পেয়েছেন সূরজ পাঞ্চোলি। আর এই মুক্তির পরেই কি একটু বেশিই ধর্মকর্মে মন দিচ্ছেন সূরজ? তাঁর সাম্প্রতিক কাজকর্মে এমনটাই প্রশ্ন জাগছে নেটপাড়ার নাগরিকদের।

আদালতের রায়ে বেকসুর খালাস হওয়ার পরদিনই সূরজ ছুটে গিয়েছিলেন মুম্বইয়ের বিখ্যাত সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে। সেখানে পুজো দিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এবার সূরজ পৌঁছলেন দিল্লির খ্যাতনামা বাংলা সাহেব গুরুদোয়ারায়। গুরুদুয়ারার ঝিলেন ধারে দাঁড়িয়ে প্রণাম করার ছবি নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন সূরজ। নীল টি-শার্ট এবং ডেনিম জিন্সে দেখা যাচ্ছে সূরজকে, প্রথা মেনে মাথায় বেঁধেছেন হলুদ রুমাল। ছবির ক্যাপশানে শুধুই হাতজোর করা একটি ইমোজি দিয়েছেন সূরজ। সূরজ তাঁর এই পোস্টে অবশ্য নেট নাগরিকদের আক্রমণ নয়, সমর্থনই পেয়েছেন। অনেকেই তাঁর প্রশংসা করেছেন, তাঁর ধৈর্যেJ প্রশংসা করেছেন।

আরও পড়ুন-'শুধু ভারত নয়, পাকিস্তান ফিল্ম ইন্ডাস্টিতেও স্বজনপোষণ রয়েছে', মুখ খুললেন পাক অভিনেতা শায়ান

আদালতের রায়ে বেকসুর খালাস হওয়ার পর সম্প্রতি হিন্দুস্তান টাইমসের কাছে মুখ খুলেছিলেন সূরজ পাঞ্চোলি। বলেন, ‘জিয়ার সবচেয়ে খারাপ সময়ে একমাত্র আমিই ওর সঙ্গে ছিলাম। ওর পরিবার এখন বিচারের জন্য দৌড়চ্ছে, ন্যায়বিচারের দাবি তুলছে, কিন্তু তাঁরা মেয়ে বেঁচে থাকতে তাঁরা জিয়ার পাশে কখনোই ছিল না। আমি জিয়ার পরিবারকে জানিয়েছিলাম যে ও অবসাদের মধ্য দিয়ে কাটাচ্ছে, তখন যতটা সম্ভব, আমি যথাসাধ্য করেছি। তবে সবাইকে এটাও বুঝতে হবে যে তখন আমারও বয়স মাত্র ২০ বছর। নিজের যত্নই ঠিকঠাক নিতে পারতাম না। তারপরেও আমি কয়েক বছরের বড় জিয়ার যত্ন নেওয়ার সবরকম চেষ্টা করেছি। সেই সময় আমার থেকেও বেশি ওর নিজের পরিবারকে প্রয়োজন ছিল। তিক্ত হলেও সত্যিটা হল- ওর পরিবার, ওর মা শুধুমাত্র জিয়ার জীবনে আর্থিক সহায়তায় ছিলেন, বাকি কিছুতেই ছিলেন না। ’

২০১৩ সালের ৩ জুন তাঁর মুম্বইয়ের বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় জিয়া খান। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২৫। এই ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ছিল সূরজ পাঞ্চোলির বিরুদ্ধে।

(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)

বন্ধ করুন