ফুড ডেলিভারি বয়-দের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে দিন কয়েক আগেই মহাফ্যাঁসাদে পড়েছিলেন ‘রান্নাঘরের রানি’। ফের নতুন বিতর্কে সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় আজকাল পান থেকে চুন খসলেই সুদীপার দিকে রে রে করে তেড়ে আসছেন নেটিজেনরা। বুধবারও তেমনই ঘটল। শাড়ি-গয়নার ছবি পোস্ট করে তুমুল ট্রোলড হলেন সুদীপা।
প্রত্যেকবারের মতো এবারও ধুমধাম করে দুর্গাপুজোর আয়োজন হয়েছিল সুদীপার বাড়িতে। সেখানে হাজির ছিলেন প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার মতো সেলেবরা। নবমীর দিন ঘন সবুজ তসর বেনারসিতে সেজেছিলেন সুদীপা। নিজের বুটিকের সেই শাড়ি এবং একইরকম গয়না চাইলে যে কেউ কিনতে পারবে এমনই ঘোষণা ফেসবুক পোস্টে দেন সুদীপা। সেই নিয়ে শুরু বিপত্তি।
বেশকিছু ছবি পোস্ট করে সুদীপা লেখেন, ‘আমার নবমী লুক অনেকেই পছন্দ করেছে, এবার আমি এই লুক তৈরি করব আপনাদের জন্য। যেটা হতে পারে দিওয়ালি লুক। একটি তসর বেনারসি শাড়ি ও সঙ্গে দুটো নেকলেসের সেট যেটা ব্রোঞ্জ ও তামা দিয়ে তৈরি, সোনার পালিশ (আমারটা যদিও সোনার, মাত্রাতিরিক্ত দামি)। তবে ডিজাইন ও মেকিং একই হবে কারণ দুটোই একই দক্ষিণ ভারতীয় কারিগরকে দিয়ে তৈরি হবে।’ সুদীপার এই পোস্ট অনেকেই ভালোভাবে নেননি। সুদীপার পোস্টের কমেন্ট বক্সে একজন লেখেন, ‘দিদি সোনা কেনবার ক্ষমতা আপনার একার নেই, সারাক্ষণ এমন দেখনদারির দরকার নেই’। আরেকজন লেখেন, ‘তা পুজোর সময় আপনি তো বেশ কিছু নকল গয়না পরেছিলেন, সেগুলো নিয়েও একটু কথা বলুন না’। এক নেটিজেন লেখেন, ‘সবাই তো আপনার মতো হঠাৎ করে বড়লোক হয়নি, তাই শো-অফের দরকার পড়ে না’। সুদীপার ‘নৈতিক শিক্ষার অভাব’ রয়েছে- এমন কথাও বলতে শোনা যায় অনেককে।
আসলে শাড়ি-গয়নার বিজ্ঞাপন দেওয়ার সময় নিজের গয়নাকে আসল সোনার এবং মাত্রারিক্ত দামি বলে উল্লেখ করেন সুদীপা, সেটার মধ্যে দিয়ে অন্য়কে হেয় করবার চেষ্টা করেছেন তিনি-এমনটাই ধারণা নেটদুনিয়ার একাংশের। পাশাপাশি অনেকেই সুদীপার বুটিকে তৈরি শাড়ির মাত্রাতিরিক্ত দামের প্রসঙ্গ তুলেও কটাক্ষ করেছেন।
মাঝে সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব রটেছিল রান্নাঘর থেকে নাকি বাদ পড়তে চলেছেন সুদীপা। সেই গুঞ্জন নস্যাৎ করে পুজোর আগেই সুদীপা জানিয়েছেন, 'আমি এই বিষয় গুলোকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাই না। কারণ এই খবরের কোনও সত্যতা নেই। কোনও তথ্য সূত্র নেই। এমনকী আমার কাছে এই ধরণের কোনও খবর নেই। আর জি বাংলার তরফেও এখনও এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। আমার ধারণা তাঁদের কাছেও এ ধরণের কোনও খবর নেই। যাঁরা এই ধরণের ভুয়ো খবর প্রচার করছেন তাঁরা নিজেদের পাবলিসিটির জন্য করছেন।’