পুজোয় প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘুরে ঠাকুর দেখার সঙ্গে আরও একটা কাজ বড় প্রিয় বাঙালির। আর তা হল জমিয়ে পেট পুজো। বিরিয়ানি থেকে ফুচকা, চপ-কাটলেট-এগরোল-মোগলাই কিছুই বাদ যায় না। কলকাতার ঐতিহ্যশালী এক ফাস্ট ফুডের দোকানের খোঁজ দেন রান্নাঘর-খ্যাত সুদীপা চট্টোপাধ্যায় ইনস্টাগ্রামে। যদিও তাতে বেশ ভালো কটাক্ষেই পড়তে হল তাঁকে।
ফুড ভ্লগারদের চকোলেট ম্যাগি কিংবা মাছের চা-এর ভিডিয়ো দেখে দেখে এমনিতেই চোখ কপালে উঠেছে নেট-নাগরিকদের। তাই অনেকেই সুদীপাকে ট্রোল করলেন খাবার দোকানের খোঁজ দিতে। তাঁদের বক্তব্য, ‘অভিনয়, শাড়ির দোকান ছেড়ে এবার কি ফুড ভ্লগিংয়ের কাজ শুরু করছেন?’ আরও পড়ুন: ৬৯৯ টাকায় ১০ খানা সিনেমা! মাসিক সাবস্ক্রিপশনে সিনেমা দেখার সুযোগ পিভিআর আইনক্সে
সুদীপাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘দুর্গা পুজোয় প্যান্ডেল হপিংয়ের পাশাপাশি, খুব দরকার হয় চপ-কাটলেটের এক দারুণ ঠিকানার’। এরপর অভিনেত্রীর ক্যামেরা সোজা ঢুকে যায় এক দোকানের ভিতরে। যার নাম অ্যালেন কিচেন। যা উত্তর কলকাতায় অবস্থিত, শোভাবাজার মেট্রো স্টেশনের কাছে। এই দোকানের জনপ্রিয় চিংড়ির কাটলেটেরও খোঁজ দিলেন তিনি। ঘুরিয়ে দেখালেন অ্যালেন কিচেনের রান্নাঘর।
সুদীপার এই ভিডিয়োর কমেন্টে একজন লিখলেন, ‘প্রথমে শাড়ি, তারপর গয়না। আর এখন ফুড ভ্লগিং। সাধারণ মানুষ কী করবে তাহলে। আর কী কী বাকি আছে লিস্ট করে দেব নাকি। সুবিধে হবে।’
কদিন আগে সুদীপার এক শাড়ি বিক্রির পোস্টও তুমুল ভাইরাল হয়। যেখানে ১ লাখের ঢাকাই জামদানি দেখিয়েছিলেন তিনি। শাড়িটি বাংলাদেশের বলে উল্লেখ করেন। তবে সাধারণ মানুষ তো বটেই, বাংলাদেশের অনেক শাড়ি বিক্রেতা এসেও সুদীপার পোস্টে কমেন্ট করে যান যে তিনি বেশি দাম নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: বিয়ের ৮ মাসেই সুখবর! প্রেগন্যান্সির খবর দিলেন মোহর, বাবা হতে চলেছেন দুর্নিবার
পুজো কিন্তু বেশ ধুমধাম করে পালন হয় সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে। অগ্নিদেব-সুদীপার বাড়িতে এই চার দিনে ভিড় জমান টলিপাড়ার অভিনেতা-অভিনেত্রী থেকে নেতা-মন্ত্রী, অনেকেই। বাড়ির পুজোয় বয়স ১৫০ বছরেরও বেশি। যদিও আগে তা হত ঢাকার বিক্রমপুরে, আদি বাড়িতে। সুদীপার বাড়িতে গত ৯ বছর ধরে পুজোয় আয়োজন হচ্ছে।
চট্টোপাধ্যায় বাড়িতে মা দুর্গাকে দেওয়া হয় আমিষ ভোগ। অষ্টমীর সন্ধিপুজোর পর থেকেই মাংস আর নানা রকমের মাছ পরিবেশন করা হয়। মায়ের ভোগে থাকে গঙ্গা ও পদ্মার ইলিশ।