আদিত্য ঠাকরে প্রয়াত বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত এবং তাঁর প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা সালিয়ানের মৃত্যু মামলায় তাঁর গ্রেপ্তারের জন্য হওয়া একটি জনস্বার্থ মামলায় (পিআইএল) হস্তক্ষেপ করার জন্য বোম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। বিধানসভার সদস্য পিআইএলে হস্তক্ষেপ করার জন্য হাইকোর্টের অনুমতি চেয়েছেন, যাতে এই বিষয়ে কোনও আদেশ দেওয়ার আগে সেটির শুনানি হয়।
অ্যাডভোকেট রাহুল আরোটের মাধ্যমে দায়ের করা হস্তক্ষেপের আবেদনে ঠাকরে দাবি করেছেন যে, পিআইএলটি রক্ষণাবেক্ষণযোগ্য নয়, কারণ রাজপুতের মামলার তদন্ত ইতিমধ্যে সেন্ট্রাল ব্যুরো অউ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)-এর দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, যেহেতু সুপ্রিমকোর্ট বিষয়টি দেখছে তাই হাইকোর্ট কোনও আদেশ দিতে পারে না।
যে পিআইএলটির জন্য এই হস্তক্ষেপের আবেদন করেছেন ঠাকরে তা দায়ের করা হয়েছিল চলতি বছরের জুন মাসে। এবং এখনও এটির কোনও শুনানি হয়নি। এই পিআইএলে আবেদন করা হয়েছিল যাতে, সিবিআইকে ঠাকরেকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ও হাইকোর্টে একটি বিস্তৃত তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়।
২০২০ সালের জুন মাসে মুম্বইয়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের দেহ। তার দিনকয়েক আগেই বহুতল থেকে পড়ে মারা যান সুশান্তের সহকারী দিশা। সুশান্তের মৃত্যুর সময় মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী ছিলেন উদ্ধব ঠাকরের ছেলে আদিত্য। মাসখানেক আগে থেকেই সুশান্তের ম্যানেজার দিশা সালিয়ানের রহস্য মৃত্যুতে অদিত্য ঠাকরের যোগ নিয়ে সুর চড়াতে শুরু করে বিজেপি। আদিত্য ঠাকরের নার্কো টেস্টের দাবি করে বিজেপি বিধায়ক নীতেশ রানে। শুধু তাই নয়, সুশান্তের মৃত্যুর মামলা চলাকালীন অভিনেতার প্রাক্তন বান্ধবীকে ৪৪ বার ফোন করার অভিযোগও রয়েছে আদিত্যর উপর।