সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুতে গভীর একটা শূন্যতা তৈরি হয়েছে সকলের মনে। মাত্র ৩৪ বছর বয়সী সোনালি ভবিষ্যতের হাতছানি এভাবে হেলায় দূরে ঠেলে সকলকে ফাঁকি দিয়ে চলে যাবে পর্দার ধোনি, কেউ দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেনি। ছিছোড়তে যে ছেলেটা বাঁচতে শেখালো সেও পারে আত্মঘাতী হতে? সুশান্তের আত্মহত্যার কারণ খতিয়ে দেখছে মুম্বই পুলিশ। সুশান্তের ডিপ্রেশনের কারণ হিসাবে বারবার উঠে আসছে বলিউডের স্বজনপোষণ তত্ত্ব। তবে ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও কী দোটানায় পড়েছিলেন সুশান্ত।
নবভারত টাইমসের রিপোর্ট বলছে,সুশান্ত সিং রাজপুতের মনোবিদ কেশরি চভদার বয়ানে বেশকিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।প্রয়াত অভিনেতার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ন তথ্য দিয়েছেন এই চিকিত্সক। তিনি জানিয়েছেন,ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশনের শিকার ছিলেন সুশান্ত,রাতে তিনি ঘুমতে পারতেন না। অদ্ভূত চিন্তাভাবনা তাঁর মাথায় ঘর করত।
অঙ্কিতা লোখান্ডের সঙ্গে ব্রেক আপের পর (২০১৬) বেশ কিছু সম্পর্কে জড়িয়েছেন সুশান্ত, তবে প্রতিবারই তিনি অনুভব করেছেন অঙ্কিতার মতো করে তাঁকে কেউ ভালোবাসেনি!
চিকিত্সক নাকি বলেছেন রাবতা কো-স্টার কৃতী শ্যানন এবং এক পরিচালকের মেয়ের সঙ্গে প্রেম সম্পর্ক ছিল সুশান্তের,কিন্তু দুটো সম্পর্কই টেকেনি।এখানেই শেষ নয়,বর্তমান গার্লফ্রেন্ড রিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গেও খুশি ছিলেন না সুশান্ত। মনোবিদ আরও জানান সুশান্ত বাইপোলার মনের অধিকারি ছিলেন।
২০০৯ সালে পবিত্র রিসতার সেটেই প্রথম আলাপ সুশান্ত-অঙ্কিতার। সেখানেই ঝগড়া দিয়ে শুরু দুজনের বন্ধুত্ব, এবং তারপর প্রেম। কোনদিনও নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে লুকোছাপা করেননি দুজন। মেনে নিয়েছেন-'হ্যাঁ, ভালোবাসি একে অপরককে'। ভারতীয় টেলিভিশনের অন্যতম সেরা অনস্ক্রিন জুটির অফস্ক্রিন রসায়নও চর্চায় থাকত হামেশা। শুধু প্রেম সম্পর্ক নয়,লিভ ইন রিলেশনশিপে ছিলেন সুশান্ত-অঙ্কিতা। ২০১৬-র ডিসেম্বরে বিয়ে করবার কথাও ছিল,কিন্তু সেই বছরের শুরুতেই চিড় ধরে দুজনের সম্পর্কে।২১ জানুয়ারিতে সুশান্তের জন্মদিনের পার্টিতে হাজির ছিলেন না অঙ্কিতা, যা দুজনের ব্রেক-আপের খবরে কার্যত শিলমোহর দিয়ে দেয়। এরপরই সুশান্ত শিফট করে যান সেই ফ্ল্যাট থেকে যেই ফ্ল্যাটে নিজেদের ভালোবাসার নীড় সাজিয়েছিলেন তাঁরা। তখনই স্পষ্ট হয়ে যায় সব শেষ। সেই বছর মে মাসে অফিসিয়্যালি অঙ্কিতা লোখান্ডের সঙ্গে দীর্ঘ সাত বছরের সম্পর্কে ইতি টানেন সুশান্ত।