বয়স ৮০, তবে তাঁর সৌন্দর্য ছিল চিরন্তন। কিংবদন্তী অভিনেত্রীদের মধ্যেই একজন তিনি। ইনি আর কেউ নন তনুজা। শুধু হিন্দি নয়, একসময় বহু বাংলা ছবিতেও অভিনয় করেছেন, ছিলেন মহানায়ক উত্তম কুমারের নায়িকা। তাঁর চোখের সৌন্দর্য, উজ্জ্বলতায় মুগ্ধ ছিলেন বহু পুরুষ। তবে শুধু সৌন্দর্যই নয়, তাঁর বুদ্ধিদৃপ্ত অভিনয়ও প্রশংসিত হয়েছে।
প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী হওয়া সত্ত্বেও সেসময় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ইঁদুর দৌড়ে সামিল হননি তনুজা। জানা যায়, সহ-অভিনেতাদের সঙ্গেও বুদ্ধিতৃপ্ত সম্পর্কই বজায় রাখতেন অভিনেত্রী। এক সাক্ষাৎকারে সহ অভিনেতা বিনোদ খান্না, অমিতাভ বচ্চন, ধর্মেন্দ্রদের সঙ্গে নিজের সম্পর্কের কথা খোলসা করেন তনুজা। জানা যায়, ধর্মেন্দ্র একবার তনুজার সঙ্গে ফ্লার্ট করা চেষ্টা করার তাঁকে সপাটে চড় মেরে বসেছিলেন অভিনেত্রী। তনুজা বলেন, ‘একদিন ও (ধর্মেন্দ্র) আমার সঙ্গে ফ্লার্ট করার চেষ্টা করছিলেন। হতভম্ব হয়ে আমি ওকে চড় মেরে বসি, বলি বেশরাম! আমি জানি, তোমার স্ত্রী আছে, আর তুমি আমার আমার সঙ্গে কোন সাহসে ফ্লার্ট করছ! লজ্জিত হয়ে ও তখন আমায় বলল, তনু, মেরি মা, সরি বোলতা হুঁ! প্লিজ আমাকে তোমার বানিয়ে নাও।’ তনুজা বলেন,'এরপর অনেক অনুনয় বিনয়ের পর আমি ধর্মেন্দ্রর কবজিতে কালো সুতো বেঁধে দি।'
আরও পড়ুন-মালাবদলের পর অতিথিদের সঙ্গে আলাপ, সকলের সামনেই রাঘবের গালে চুমু খেলেন পরিণীতি
তনুজা জানান, ধর্মেন্দ্রর প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌরের সঙ্গেও তাঁর আলাপ হয়েছিল। তাঁর কথায়, ‘আমরা তখন দুলাল গুহের চাঁদ অউর সুরজের শুটিং করছিলাম। ধরম ও আমি বন্ধুরা মদ্যপান করতাম এবং দারুণ মজা করতাম। এমনকি ধর্মেন্দ্র ওর স্ত্রী প্রকাশের সঙ্গেও আমাকে পরিচয় করিয়ে দেয়। সানির (দেওল) বয়স তখন মাত্র পাঁচ, আর ওর মেয়ে লালির বয়স ছিল মাত্র ৬ মাস।’
বিনোদ খান্নার প্রসঙ্গে তনুজা বলেন, ‘উনি কখনও আলতু ফালতু কথা বলতেন না। উনি সহ অভিনেতাদের সঙ্গে সুন্দরভাবে সম্পর্ক তৈরি করতেন।’ প্রসঙ্গত ২০১৭ সালে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় বিনোদ খান্নার।