এক সময় বলিউডে বেশ হিট করেছিল ইমরান হাসমি আর তনুশ্রী দত্তের সিনেমা। বিশেষ করে সাহসী দৃশ্যে তো জোড়ি ছিল সুপার হিট। তিনটে ছবি একসঙ্গে করেন তাঁরা। আশিক বানায়া আপনে (২০০৫), চকোলেট: ডিপ ডার্ক সিক্রেটস (২০০৫) এবং গুড বয়, ব্যাড বয় (২০০৭)। তবে, আশিক বানায়া আপনেতে তাঁদের গভীর চুম্বন এখন পর্যন্ত সবচেয়ে আলোচিত। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই নিয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘খুব একটা কম্ফোর্টেবল’ ছিল না সেই চুমু। পর্দার বাইরে দুজনের কোনও রসায়নই নেই।
‘ইমরান আমার জন্য বরাবরই একজন সহ-অভিনেতা। আমি তার সঙ্গে তিনটি সিনেমা করেছি।'চকোলেট'-এও একটি চুম্বন দৃশ্যের শ্যুটিং ছিল। সেটা যদিও পরে ব্যবহার করা হয়নি। প্রথমে চুমুর দৃশ্য আমার জন্য একেবারেই স্বস্তিকর ছিল না। পরে অস্বাচ্ছন্দ্য আরও বাড়ে। আমাদের পর্দার বাইরে কোনও রসায়নই নেই। ওর একটা কিসার বয় ইমেজ থাকলেও চুমু খাওয়ার ক্ষেত্রে তিনি খুব একটা আরামদায়ক নন, আমিও নই।’, বলেন তনুশ্রী।
তনুশ্রী তাঁর কেরিয়ার শুরু করেছিলেন আশিক বানায়া আপনে দিয়ে। পরে, তাঁকে দেখা যায় চকোলেট: ডিপ ডার্ক সিক্রেটস, ভাগম ভাগ এবং ৩৬ চায়না টাউন-সহ আরও বেশ কয়েকটি ছবিতে। যাই হোক, তিনি শিরোনাম আসেন যখন তিনি নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে হর্ন ওকে প্লিস (২০০৮)-এর শ্যুটের সময় তাকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ তোলেন। সিনেমায় একটি নাচ নম্বর ছিল অভিনেত্রীর।
অন্য দিকে, ইমরান হাশমি বরাবরই বলিউডের ‘সিরিয়াল কিসার’ হিসেবে পরিচিত। কারণ তিনি তাঁর চুমুর মাধ্যমেই ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের স্থান তৈরি করেছিলেন। যদিও নিজের তৈরি করা সেই চেনা ছক ভেঙেছেন ইমরান ধীরে ধীরে। সম্প্রতি সলমন খানের টাইগার ৩-এ ভিলেন হিসেবে দেখা পাওয়া গিয়েছে তাঁর। অ্যাকশন দৃশ্যে কাঁটায় কাঁটায় টক্কর দিয়েছেন ভাইজানকে। যা বেশ পছন্দও হয়েছে দর্শকদের। প্রশংসা পেয়েছে ইমরানের নতুন অবতার সমালোচকদের থেকে।
সম্প্রতি এই নিয়ে মুখ খুলে ইমরানকে বলতে শোনা যায়, ‘অভিনেতাদের জন্য চিরন্তন ফাঁদ রয়েছে। কিছুদিন পরেই আপনাকে টাইপকাস্ট করে দেওয়া হবে। আমার ক্ষেত্রে এটা ছিল সিরিয়াল কিসার। যা খুব অযৌক্তিক ছিল যদিও। প্রথমদিকে এটাকে রসিকতা হিসেবে নেওয়া হত। পরে দেখা গেল এটাই লোকের মনে আটকে গিয়েছে। সাংবাদিক ও দর্শকরা এটাই বলে ডাকছে-লিখছে। এমন নয় যে আমি এর ফলে উপকৃত হইনি, আমার সিনেমাগুলি বক্স অফিসে ভালো ফল করেছে। তবে এখন আমি এটা ছেড়ে বেরোতে চাই।’