খুনের অপরাধে গ্রেফতার 'মহাভারত' খ্যত টেলি অভিনেতা ভূপিন্দর সিং। জানা যাচ্ছে, গাছকাটা নিয়ে প্রতিবেশীর সঙ্গে বিরোধে কারণেই ভূপিন্দরের হাতে খুন হতে হয় এক যুবককে। আহত হন আরও তিনজন। ঘটনাটি ঘটে উত্তরপ্রদেশের বিজনোরে। জানা যাচ্ছে, রাগের মাথাতেই নিজের লাইসেন্স প্রাপ্ত বন্দুক থেকে এলো পাথারি গুলি চালিয়ে বসেন অভিনেতা ভূপিন্দর সিং।
জানা যাচ্ছে মৃত যুবকের মামা অভিনেতা ভূপিন্দর সিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তারই ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় অভিনেতাকে। খোঁজ চলছে অভিযুক্ত আরও ২ সহযোগীর। তাঁরা পলাতক বলেই জানাচ্ছে পুলিশ।
আরও পড়ুন-প্রশ্ন করার আগে মনে রাখবেন আপনি আমার বাবার....KBC-র মঞ্চে Big B-কে সুহানার গুগলি
জানা যাচ্ছে, ভূপিন্দর সিং উত্তরপ্রদেশের কুয়ানখেদা খাদরি গ্রামের বাসিন্দা। যিনি সেখানে একটা খামারবাড়িরও মালিক। ভূপিন্দরের প্রতিবেশী গুরদীপ সিংয়ের বাড়ি ওই খামারবাড়ির পাশেই। জানা যাচ্ছে, খামারবাড়ির জমির ধারে একটা ইউক্যালিপটাস গাছ ছিল। ওই গাছটি কার সম্পত্তি তা নিয়ে দুজনের মধ্যে বচসা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে ভূপিন্দর হঠাৎই তাঁর লাইসেন্স প্রান্ত বন্দুক থেকে গুলি চালিয়ে বসেন। গুরদীপ সিং, তাঁর স্ত্রী মীরাবাই এবং তাঁদের এক ছেলে বুটা সিং গুরুতর জখম হন। গুরদীপ সিংয়ের ২২ বছর বয়সী ছেলে গোবিন্দ সিং ঘটনাস্থলেই মারা যান। এই ঘটনায় অভিনেতা ভূপিন্দর সিংয়ের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের হয়।
ভূপিন্দর নিজের কেরিয়ার শুরু করেছিলেন টিভি শো ‘জয় মহাভারত’ দিয়ে। এছাড়াও তিনি ‘৮৫৭ ক্রান্তি’, ‘ইয়ে পেয়ার না হোগা কাম’, ‘মধুবালা - এক ইশক এক জুনুন’, ‘এক হাসিনা থি’, ‘তেরে শেহের মে’, ‘কালা টিকা’ এবং ‘রিশতোঁ কা চক্রব্যূহ’ মতো টিভি ধারাবাহিকে দেখা গিয়েছে ভূপিন্দর সিংকে। এছাড়াও ভূপিন্দপ ‘সোচ এল’ এবং ‘যুবরাজ’-এর মতো হিন্দি ছবিতে সহায়ক ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। ১৯৯৮ সালে ‘শাম ঘনশাম’ ছবির হাত ধরে বলিউডে কাজ শুরু করেন।