পাইরেসি ঠেকানো বিনোদন জগতের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বহু সিনেমাই পাইরেসির আক্রমণের মুখে পড়ে। তাতে সেগুলির ব্যবসারও ক্ষতি হয়। বর্তমানে ওটিটি মাধ্যমে যে সিনেমা বা সিরিজ-গুলি মুক্তি পায়, সেগুলি এই আক্রমণের মুখে আরও বেশি মাত্রায় পড়ে। ওটিটি মাধ্যমে আসার সঙ্গে সঙ্গেই পাইরেসির দৌলতে সেগুলি ছড়িয়ে পড়ে ইন্টারনেট দুনিয়ার নানা জায়গায়। ফলে মার খায় সেগুলির ব্যবসা। হালে এই ধরনের সংকটের মুখে পড়েছে ‘হাউস অব দ্য ড্রাগন’-ও।
একবার অনলাইনে মুক্তি পাওয়ার পরে সেই ছবি বা সিরিজের পর্ব ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়াটা খুব বিরল নয়। কিন্তু মুক্তির আগেই যদি, তেমন কিছু ঘটে, তাহলে সেটির ব্যবসা বিরাট ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। আর সেটিই ঘটেছে ‘হাউস অব দ্য ড্রাগন’-এর সঙ্গে। শেষ পর্ব সম্প্রচারের দু’দিন আগেই এটি ছড়িয়ে পড়েছে নেটদুনিয়ায়। তাতে নির্মাতাদের মাথায় হাত।
এই সিরিজের নির্মাতা এইচবিও চ্যানেল। তাদের মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁদের সন্দেহ ইউরোপ, পশ্চিম এশিয়া অথবা আফ্রিকার কোনও জায়গা থেকে প্রাথমিকভাবে এই ভিডিয়োটি ফাঁস হয়েছে। ‘আমরা জানি, ‘হাউস অব দ্য ড্রাগন’-এ শেষ পর্বটি বেআইনি ভাবে কোনও একটি টরেন্ট সাইটে ফাঁস হয়েছে। আমরা বিষয়টির উপর নজর রাখছি। এবং যত দ্রুত সম্ভভ ওই কপিটিকে মুছে ফেলার চেষ্টা করছি। আমরা খুবই দুঃখিত যে, এই ঘটনা ‘হাউস অব দ্য ড্রাগন’-এর অনুরাগীদের বিরক্তির সৃষ্টি করেছে। রবিবারে এই সিরিজের শেষ পর্বটি তাঁরা দেখতে পাবেন। তার আগে এই ঘটনা মোটেই কাঙ্ক্ষিত নয়।’ এমনই বলা হয়েছে চ্যানেলের তরফে।
‘গেম অব থ্রোনস’-এর মতোই তার প্রিক্যুয়েল ‘হাউস অব দ্য ড্রাগন’-এ ক্ষেত্রেও শেষ পর্বের চমক খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অনলাইনে আগেই সেই পর্বটি ফাঁস হয়ে যাওয়ায়, সেই পর্বে কী হতে চলেছে, সেটিও প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। আর সেটিই অনেকের কাছে বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই কারণেই তড়িঘড়ি এই পাইরেটেড ভার্সনটি নেটদুনিয়া থেকে সরাতে চাইছেন নির্মাতারা।