নেটফ্লিক্সে সম্প্রচারিত ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো’-এর শেষ পর্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন আমির খান। কপিলের শোতে এসে ব্যক্তিগত এবং পেশাদার জীবন নিয়ে নানান খোলামেলা কথা বলেছেন অভিনেতা। বলিউডে তিন দশকের বেশি কেরিয়ার নিয়ে গর্ব বোধ করেন আমির। ‘লগন’ অভিনেতা মহারাষ্ট্র বনধকে তাঁর অভিনেতা হওয়ার জন্য একটি অনুঘটক হিসেবে কৃতিত্ব দিয়েছে।
পুরনো কথা স্মরণ করে আমির বলেছেন, ‘আমার থিয়েটার নাটকের তিন দিন আগে ছিল মহারাষ্ট্র বনধ। এ কারণে রিহার্সালে যেতে পারিনি। পরিচালক আমাকে শো ছেড়ে চলে যেতে বললেন। আমি কান্নায় ভেঙে পড়েছিলাম। কারণ নাটকের মাত্র দুদিন আগে তারা আমাকে বের করে দেওয়া হয়েছিল! ইন্টার কলেজে উঠতে পারিনি’।
তিনি আরও যোগ করেছেন, 'ঠিক তখনই দুজন লোক এগিয়ে এল। তারা আমাকে পুনে ইনস্টিটিউটে একটি ডিপ্লোমা ফিল্ম অফার করেছিল। সঙ্গে সঙ্গে বাসে উঠে শ্যুটিং শেষ করি। সেখানে সম্পাদক হিসেবে কর্মরত আরেক ছাত্র ছবিটি দেখেছিলেন। আমার কাজে মুগ্ধ হয়ে তিনি আমাকে একটি সিনেমার প্রস্তাব দেন। এই দুটি ছবি দেখার পর, পরিচালক কেতন মেহতা আমাকে 'হোলি' (১৯৮৪) ছবিতে কাস্ট করেছিলেন। হোলি দেখার পর মনসুর ও নাসির সাহেব বললেন, চল ওকে নিয়ে একটা ফিল্ম করি। আমি একজন ভালো অভিনেতা ছিলাম বলে তাঁরা আমাকে নিয়ে একটি সিনেমা তৈরির কথা ভেবেছিলেন। এরপরই 'কেয়ামত সে কেয়ামত তক' হয়েছিল। তাই, সেদিন মহারাষ্ট্র বনধ না হলে হয়তো আমি তারকা হয়ে উঠতাম না।'
কপিল শর্মার শোতে, আমির খানও প্রকাশ করেছিলেন যে তাঁর সন্তানরা তাঁর কথা শোনে না। আরও বলেছেন, ‘আমার সন্তানেরা আমার কথা শোনে না।’ আমির আরও জানিয়েছেন, প্রায়শই ‘মাঝখানে আটকে’ থাকার মতো অনুভব করি। সন্তানদের আগ্রহের অভাবের প্রতিফলন করে অভিনেতা বলেছেন, ‘আমার সন্তানেরা আমার কথা শোনে না। মাঝে মাঝে আমি অনুভব করি যে আমাদের প্রজন্ম মাঝপথে আটকে আছে। আমরা আমাদের বাবা-মায়ের কথা শুনতাম। আমরা ভেবেছিলাম আমাদের সন্তানরা শুনবে। আমাদের কাছে এবং আমাদের সময়ও আসবে, যেমন রণবীর সিং বলেছেন, (আপনা টাইম আয়েগা গানে)। কিন্তু আমরা যখন বাবা-মা হলাম, তখন আমাদের সন্তানরা বদলে গিয়েছে। তারা শুধু আমাদের কথা শোনে না। প্রথমত, আমাদের বাবা-মা আমাদের বকাঝকা করতেন এবং এখন আমাদের ছেলেমেয়েরা একই কাজ করছে (ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন)’।