Tithi Basu: সিঁথি ভর্তি সিঁদুর! বিয়ের মণ্ডপে মা সিরিয়ালের ঝিলক, গোপনে সাত পাক ঘুরলেন তিথি?

Tithi Basu: প্রেমের সপ্তাহে গোপনে বিয়ে সারলেন মা সিরিয়াল খ্যাত তিথি বসু? বিয়ের মণ্ডপে সিঁদুরদানের ঝলক দিতেই অনুরাগীদের প্রশ্ন, ‘বিয়ে করে নিলে?’

বিয়ে হলে গেল তিথির! 

সপ্তাহান্তে অনুরাগীদের মধ্যে শোরগোল ফেলে দিলেন অভিনেত্রী তিথি বসু অর্থাৎ মা সিরিয়ালের ঝিলিক। সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী, সেখানে দেখা গেল টুকটুকে লাল বেনারসিতে তিথি, গা-ভর্তি সোনার গয়না। আর সিঁথিতে রাঙানো সিঁদুর, পাশে মিষ্টি মুখের বর!

টলিউডে এখন বিয়ের মরশুম। সাতপাক ঘুরছেন একের পর এক নায়িকা। তার মাঝে তিথির ‘বিয়ের ঝলক’ দেখে ঘুম উড়েছে নেটিজেনদের। এর আগে কনের সাজে ফটোশ্যুট সেরেছেন তিথি, কিন্তু এবার তো সিঁদুরদান! পাশে বরও রয়েছে, তাহলে কি বিয়েটা সত্যিই সেরেছেন নাকি? কনের বেশে তিথিকে দেখে চোখ সরাতে পারছেন না অনুরাগীরা। নববধূর লুকে অনন্যা তিনি। জারদৌসি কাজের লাল ব্লাউজ, পরনে লাল বেনারসি, মাথায় লাল ওড়না। গলা ভর্তি সোনার হার, কানে সুবিশাল ঝুমকো, মাথাপট্টি সরানো, সেখানে জ্বলজ্বল করছে লাল সিঁদুর।

কনে সেজে সামনে এলেন তিথি 

তিথির পাশে বসা পাত্র। সাদা ধুতি, লাল পাঞ্জাবিতে দেখা মিলল তাঁর। সিঁদুরদানের ঠিক পরের মুহূর্তে তোলা এই ছবি। প্রেমের সপ্তাহে এটা কি তিথির নতুন চমক! পুরোপুরি খোলসা করেননি অভিনেত্রী। শুধু লিখেছেন, ‘সঙ্গে থাকুন, অপেক্ষা করুন’। বোঝাই যাচ্ছে প্রেমের সপ্তাহে হয়ত কোনও নতুন ফটোশ্যুট বা মিউজিক ভিডিয়ো নিয়ে হাজির হচ্ছেন তিথি। তারই ঝলক শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী।

কনের বেশে জমিয়ে নাচতেও দেখা গেল তিথিকে। বিয়ের মণ্ডপে দাঁড়িয়েই বান্ধবী তাঁকে শেষবারের মতো বোঝানোর চেষ্টায়- বিয়ে করিস না! রিলের ক্যাপশনে তিথি লেখেন, ‘কেমন বন্ধ যে বিয়েই করতে দেবে না'। আপতত সিঙ্গল তিথি। ক্রিকেটার দেবায়ুধ পালের সঙ্গে দীর্ঘ সাড়ে চার বছরের সম্পর্ক ছিল তিথির। যদিও তা ভেঙে যায় তিথির বছর দেড়েক আগে। সম্পর্ক ভাঙা নিয়ে তিথির জবাব ছিল, ‘কোনও সম্পর্কে যখন পরিবারের হস্তক্ষেপ বেড়ে যায়, তখনই সমস্যা। মা বাবারা সন্তানের ভাল চেয়ে হয়তো এগুলো করে থাকেন। হয়তো কোথাও গিয়ে আমরা একে অপরকে হারিয়ে ফেলেছিলাম। তবে এর দোষ আমি পরিবারকে দিতে চাই না।’

প্রাক্তন প্রেম তাঁর ভাবায় না। স্পষ্ট কথা তিথির।  জনপ্রিয়তা কম বয়সে পেলেও, জীবনে এসেছে নানা ওঠাপড়া। জোশ টকসে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, তিনি যখন দশম শ্রেণীতে পড়ছিলেন তখনই তাঁর বাবা তাঁদের থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সামনেই জীবনের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা মাধ্যমিক। সেই সময় থেকেই তাঁকে নিতে হয়েছিল সংসারের গুরু দায়িত্ব। আপতত ছোটপর্দা থেকে দূরে, তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক অ্যাক্টিভ অভিনেত্রী।