সাদা-কালো ছবির এই মিষ্টি খুদে এখন টলিউডের অতি পরিচিত নাম। সে অবশ্য এখন আর খুদে নেই। বরং টলিউডের প্রথম সারির পরিচালক। তাঁর পরিচালিত সিনেমা বা সিরিজ সবসময়ই থাকে চর্চায়। স্বাধীনতা দিবসে মুক্তি পেয়েছিল তাঁর শেষ ছবি। সদ্যই নিজের ৪৪তম জন্মদিন পালন করেছেন পরিচালক। কি চিনতে পারলেন?
এই মিষ্টি খুদের বাবা টলিউডের অন্দরের লোক। ভাই বলিউডের পরিচিত মুখ। কাজ করেছেন অমিতাভ বচ্চনের একাধিক ছবির পরিচালক হিসাবে। আর মা? তিনি দূরদর্শনের সাড়া জাগানো মুখ। দূরদর্শনের নামজাদা সংবাদ পাঠিকা ছিলেন তিনি। বাচিক শিল্পী হিসাবেও তাঁর নামডাক রয়েছে।
এতক্ষণে নিশ্চয় বুঝতে পারছেন? চলুন আরও একটু হিন্টস দেওয়া যাক। মায়ের ‘বান্ধবী’কে বিয়ে করেছেন এই খুদে। তিনি টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। সেই অভিনেত্রীর নাম বিদিপ্তা চক্রবর্তী। আর এই খুদে আর কেউ নন, দেব অভিনীত ‘ব্যোমকেশ ও দুর্গরহস্য’-এর পরিচালক বিরসা দাশগুপ্ত। বিরসার মা চৈতালী দাশগপ্ত একটা সময় দূরদর্শনের জনপ্রিয় সংবাদ পাঠিকা ছিলেন, বাবা রাজা দাশগুপ্তও টলিউডের ঘরের লোক। একমাত্র ভাই ঋভু দাশগুপ্ত ‘তিন’-এর বলিউড থ্রিলার পরিচালনা করেছেন।
দু-দিন আগেই ছিল বিরসার জন্মদিন। আর সেই উপলক্ষ্যেই সোশ্যালে 'সুপার-মম' চৈতালির সঙ্গে এই মিষ্টি ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। নেটিজেনদের মতে, বিরসার চোখের চাউনি আজও অবিকল একই রয়েছে।
পরিচালক বিরসা দাশগুপ্তের স্ত্রী বিদিপ্তা চক্রবর্তী। বয়সে বিদিপ্তা বরের চেয়ে বছর সাতকের বড়। বিরসার সঙ্গে বিয়ের অনেক আগে থেকে শাশুড়ি মায়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব বিদিপ্তার। একবার দিদি নম্বর ১-এর মঞ্চে সেই গল্প ফাঁস করেছিলেন দুজনে। চৈতালী দাশগুপ্ত জানান, ‘বন্ধু কখন বউমা হয়ে গেল, সেটা একদম চমকপ্রদ গল্প…’। পাশ থেকে হাসিমুখে বিদিপ্তা যোগ করেন, ‘হ্যাঁ, বন্ধু কখন ছেলের বউ গেল… সেটা শকিং’। আধুনিক চিন্তা-ভাবনায় বিশ্বাসী চৈতালী, তিনি জানান, ‘বিয়ের পর ও আমার মেয়ে হয়ে গেল। সঙ্গে একটা ফুটফুটে বাচ্চা (মেঘলা) পেয়েছিলাম। আমার বাড়িটা ভরে গেল। আমার বাড়িতে মেয়ে ছিল না। আমার দুই ছেলে। আর আজ বাড়িময় মেয়ে।….. সব মিলিয়ে আমার ভরপুর সংসার’।
বিরসাকে বিয়ের আগে দাম্পত্য সম্পর্কে ইতি টেনেছিলেন বিদিপ্তা। তাঁর প্রথমপক্ষের সন্তান মেঘলা, সে বিরসার নয়নের মণি। বিদিপ্তা ও বিরসার এক কন্যা সন্তান রয়েছে ইদা। বিরসা পরিচালিত ‘সব ভূতুড়ে’ ছবিতে ভূতের চরিত্রে অভিনয়ও করেছে সে।