Urvashi Dholakia: ‘আরও ১০-১৫ দিন…’, ঘাড়ে টিউমার অপারেশন ‘কমলিকা’ উর্বশীর, এখন আছেন কেমন?

বিখ্যাত হিন্দি সিরিয়াল ‘কসৌটি জ়িন্দেগি কি’-তে খলনায়িকার চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন উর্বশী। সম্প্রতি অংশ নেন ঝলক দিখলা যা-তে। হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। হল টিউমারের অপারেশন।

অপারেশনের পর উর্বশী। 

টিভির ‘কমলিকা’ থুরি উর্বশী ঢোলাকিয়ার হাসপাতালে ভর্তির খবর মিলেছিল শুক্রবারেই। অভিনেত্রীর ছেলে ক্ষিতীশ জানিয়েছিলেন, হাসপাতালে ভর্তি আছে তাঁর মা। এর আগে হাসপাতাল থেকে যে ছবিটি বাইরে এসেছিল তাতে দেখা যায় পিচ পিঙ্ক কালারের একটি চাদরে গলা মুড়ে হাসপাতালের বেডে হেলান দিয়ে বসে আছে। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠতে থাকে, এমন কী হল যে ভর্তি করতে হল হাসপাতালে। আছেনই বা কীরকম। এবার নিজেই সে খবর দিলেন উর্বশী। অপারেশনের পরের একটি ছবি শেয়ার করে নিলেন ইনস্টাগ্রামে। জানালেন, এখন তিনি অনেকটাই ভালো আছেন। তবে ১০-১৫ দিন বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। 

বিখ্যাত হিন্দি সিরিয়াল ‘কসৌটি জ়িন্দেগি কি’-তে খলনায়িকার চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন উর্বশী। দেখা গিয়েছিল একতা কাপুরের ‘নাগিন ৬’-তেও। পরিচালক তরুণ চোপড়ার ‘অবৈধ’ ওয়েব সিরিজ়ে অভিনয় করেছেন সম্প্রতিই। এমনকী, অংশ নিয়েছিলেন ঝলক দিখলা যা-র চলতি সিজনেও। 

ইনস্টাগ্রামে হাসপাতাল থেকে অপারেশনের পরের ছবি শেয়ার করে উর্বশী লিখলেন, ‘২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শুরুতে ঘাড়ে টিউমার (সিস্ট) ধরা পড়ায় আমাকে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছিল। আমার অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে এবং এখন আমাকে ১৫ থেকে ২০ দিনের জন্য বিশ্রামের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’

গত কয়েক মাস ধরে উর্বশী টানা কাজ করছিলেন ঝলক দিখলা যা আর সিরিয়াল ‘পুষ্পা: ইম্পসিবল’-এ। এমনকী, ঝলকে থাকাকালীনই এক দুর্ঘটনায় ভেঙে যায় তাঁর পা। আর সেই ভাঙা পা নিয়েই পারফর্ম করেছিলেন তিনি। পুষ্প ইম্পসিবলে তাঁকে দেখা যাবে আইনজীবী দেবী সিং শেখাওয়াতের চরিত্রে। কসৌটি-র কমলিকা হওয়ার ২০ বছর পর এটাই তাঁর প্রথম ইতিবাচক চরিত্র। 

ঝলকের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়ে অভিনেত্রী এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ‘ঝলকের সঙ্গে আমার জার্নি ছোট হতে পারে, তবে তা সুন্দর ছিল। আমি কয়েক সপ্তাহ ধরে কিছু সুন্দর স্মৃতি তৈরি করেছি। আমি কিছু আশ্চর্যজনক লোকের সঙ্গে পরিচিত হয়েছি। অঞ্জলি আনন্দ, রাজীব ঠাকুর, সঙ্গীতা ফোগাট, অদ্রিজা-র মতো মানুষদের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়েছে। শিবের সঙ্গে আলাপ হয়েছে, যাকে অসাধারণ বললেও কম বলা হবে। শ্রীরাম একটু কম কথা বলে তবে খুব নম্র আর মিষ্টি। বিবেক দাহিয়া খুব ভালো একজন মানুষ। আমি এই সব মানুষদের সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক তৈরি করেছি। কোরিওগ্রাফারদের মধ্যে নতুন বন্ধু পেয়েছি। সব মিলিয়ে এটা অসাধারণ ছিল।’