গত জুন মাস থেকেই হিংসার আগুনে পুড়ছে ফ্রান্স। প্য়ারিসে এখনও বিক্ষোভ অব্য়াহত। এদিকে সেখানেই আটকে রয়েছেন অভিনেত্রী ঊর্বশী রাউতেলা। প্যারিস ফ্যাশন উইক ২০২৩-এ যোগ দিতে সেদেশে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। এদিকে প্যারিসে এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি তাতে দেশে অভিনেত্রীকে নিয়ে চিন্তিত তাঁর পরিবার।
ট্রাফিক আইন না মানার অপরাধে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের। আর তারপর থেকেই পরস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে প্যারিসে। বিক্ষোভ দেখিয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তিতে পরস্থিতি উত্তাল হয়ে ওঠে। এই আগুন এখনও ফ্রান্সে ধিকি ধিকি জ্বলছে। এদিকে সেখানে গিয়ে ঊর্বশী রাউতেলা আটকা পড়ায় তাঁর পরিবার বেশ উদ্বিগ্ন।
ঊর্বশী নিজেও সেই আতঙ্কের কথা প্রকাশ করেছেন। তবে তাঁর কথায় তিনি নিজের থেকেও বেশি তাঁর টিমের জন্য উদ্বিগ্ন। তবে এই মুহূর্তে পরিস্থিতি অনেকটাই অনুকূল বলেই জানিয়েছেন অভিনেত্রী। ঊর্বশী বলেন, ‘প্যারিসে এখন সবকিছু ঠিকঠাক, যার জন্য আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ। আগে যখন আমি শহরে পৌঁছেছিলাম তখন খবর আসার খুশি, দেশে অস্থিরতা সত্ত্বেও আমি আমার পেশাদার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পেরেছি।’
ঊর্বশী বলেন তিনি নিজের থেকেও বেশি তাঁর টিমের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। বলেন, ‘আমার সঙ্গে আমার যে দল আছে আমি তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। দেশে আমাদের পরিবারে আমাদের নিয়ে চিন্তিত কারণ, তাঁরা এই হিংসার খবর পড়েছে। আমরা যতটা সম্ভব নিজেদের নিরাপদ রাখার চেষ্টা করছি’।
প্যারিস সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এই সুন্দর দেশটিকে যে অশান্তি ও বিভাজনটি গ্রাস করেছে তা সামনে থেকে দেখে খারাপ লাগছে। ঐক্য এবং বোঝাপড়ার শক্তি এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি হিংসা শুধুই হিংসার জন্ম দেয়। কিন্তু সহানুভূতি ক্ষত নিরাময় করতে পারে এবং সেতু তৈরি করতে পারে। আসুন আমরা এমন একটি ভবিষ্যৎ তৈরির লক্ষ্যে কাজ করি যেখানে সবাই সম্মানিত এবং মূল্যবান বোধ করে। আমি সবসময় ফ্রান্সে সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও ইতিহাসে মুগ্ধ। আমার চিন্তা ও প্রার্থনা ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে রয়েছে। দৃঢ় থাকুন, ঐক্যবদ্ধ থাকুন, আমরা এই প্রতিকূলতার ঊর্ধ্বে উঠবই।’