নাম উৎকর্ষ শর্মা, যাঁকে কিনা 'গদর-২'তে সানি দেওলের ছেলের ভূমিকায় দেখা যাবে। ২০০১-এ 'গদর: এক প্রেম কথা' ছবিতে শিশুশিল্পী হিসাবে অভিনয় দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন উৎকর্ষ। ইনিই আবার ২০১০ সালে সলমন অভিনীত 'বীর' ছবিতে সহকারী হিসাবে কাজ করেছিলেন উৎকর্ষ। আর সেই শ্যুটিংয়ের সময়ই এক কাণ্ড ঘটিয়ে বসেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেবিষয়েই মুখ খুলেছেন উৎকর্ষ শর্মা।
লেহরেন রেট্রোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উৎকর্ষ বলেন, ‘আমি তখন অনেক ছোট, ১৪-১৫ বছরের। তখন তিনি বীর ছবিতে সহকারী হিসাবে কাজ করেছিলাম। শটের আগে কীভাবে ক্ল্যাপস্টিক দিতে হয় সেটিই শিখছিলাম। ক্ল্যাপ সাধারণত কত নম্বর শট সেটা রেকর্ড রাখার জন্য ব্যবহার করা হয়। শ্যুটিংয়ে সলমনের একটা ক্লোজ শট নেওয়ার ছিল। ক্যামেরাম্যান বললেন, সলমনের মুখের কাছে গিয়ে ক্ল্যপস্টিক ধরছিলাম, কারণ ক্লোজ শট ছিল ওটা। আমিও তাই করলাম, তারপর শটের সময় ক্ল্যাপটা দিতেই সেটার মাঝে এসে পড়েছিল সলমন স্যারের নাক। কারণ উনি শটের আগে মাথা নিচু করে ছিলেন বুঝতে পারেননি। তবে লাগার পরও উনি আমায় কিছুই বলেননি, বিন্দুমাত্র রেগে যাননি। উল্টে বললেন, চল ঠিক আছি। আমি বারবার ক্ষমা চেয়েছি, কিন্তু উনি এক্কেবারেই রাগেননি। বরং সলমন স্যারের মেকআপ আর্টিস্ট সহ অন্যান্যরা তখন আমার দিকে তাকাচ্ছেন। কিন্তু উনি কিছুই বলেননি। সলমন স্য়ার ভীষণই মিষ্টি একজন মানুষ। এসবই আমার কাজ শেখার অভিজ্ঞতা।’
আরও পড়ুন-Exclusive Raj Chakraborty: রকি অউর রানি বাংলায় হলে চলত না, আমরা হিপোক্রিট: রাজ
আরও পড়ুন-পাশের ঘরে থাকলেও ছোটবেলায় বাবাকে পাশে কমই পেয়েছি, কাছে থাকতেন আমার মা: অভিষেক
আরও পড়ুন-পর্দার মায়ের মুখ আর মেয়ের গলা, 'তালি' সুর মেলালেন সুস্মিতা কন্যা রেনে
উৎকর্ষ বলেন, ‘যখন সলমন স্যারকে শট দেওয়ার জন্য ডাকতে হত, তখন আমাকেই বলির পাঁঠা বানিয়ে দিতেন সকলে। ওঁকে ডাকতে আমাকেই পাঠানো হত। কারণ, আমি তখন ছোট, তাই উনি আমার কথা শুনতেন, আমায় কিছু বলতেন না। আমিই ওঁর ভ্যানে গিয়ে নিরাপত্তারক্ষীকে বলতাম। উনি শ্যুটিংয়ের বাইরে আমাকে অনেক অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন।’
প্রসঙ্গত উৎকর্ষ শর্মার ছবি গদর-২ মুক্তি পাবে ১১ অগস্ট।