চলতি মাসে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে কার্গিল যুদ্ধের শহীদ ভারতীয় জওয়ান ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রার বায়োপিক 'শেরশাহ'। মুক্তি পাওয়ামাত্রই দারুণভাবে সে ছবি গৃহীত হয়েছে দর্শকদের মধ্যে। বিভিন্ন বলি-তারকাও সেই ছবি দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। ছবিতে মুখ্যভূমিকায় দেখা গেছে সিদ্ধার্থ মালহোত্রা এবং কিয়ারা আডবানি-কে। এবার 'শেরশাহ' নিয়ে মুখ খুললেন ছবির চিত্রনাট্যকার সন্দীপ শ্রীবাস্তব।
পরমবীর চক্র সম্মানে ভূষিত এই ভারতীয় জওয়ানের বায়োপিকের চিত্রনাট্য লেখার জন্য ঠিক কীরকম গবেষণা করতে হয়েছে তাঁকে, সেসব নিয়েই এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছিলেন সন্দীপ। এ প্রসঙ্গে তিনি নিজেই জানালেন ছবির তারিফ করা হলেও নিন্দুকেরা সরব হয়েছেন যে কিয়ারা আডবানি অভিনীত চরিত্র 'ডিম্পল চিমা'-কে অত্যন্ত কম সময়ের জন্য ছবিতে দেখানো হয়েছে। কারও কারও তো অভিযোগ ছবিতে স্রেফ শেরশাহ-র প্রেমিকা হিসেবেই দেখানো উদ্দেশ্য ছিল ছবি নির্মাতাদের। সেই অভিযোগের জবাবে সন্দীপ জানিয়েছেন বাস্তবে মাত্র কিছুদিনই দেখা হয়েছিল বিক্রম এবং ডিম্পলের। সত্যি সত্যিই তাঁরা খুব বেশি সময় কাটাতে পারেননি পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে।

নিউজ ১৮-কে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে সন্দীপ আরও বলেন যে যখন তিনি 'শেরশাহ'-র চিত্রনাট্য লেখার ব্যাপারে ডিম্পলের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সেইসময়ে সিম্পলই তাঁকে বলেন বিক্রমের সঙ্গে তাঁর প্রায় ৪ বছরের সম্পর্ক থাকলেও খুব বেশি হলেও বড়জোর ৪০ দিন তাঁরা একসঙ্গে কাটাতে পেরেছিলেন! চিত্রনাট্যকারের কথায়, 'ওই ক'টা দিনই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল ডিম্পলের জীবনে। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করেছি যাতে ছবিতেও বিক্রম ও তাঁর প্রেমিকার মধ্যে এই সাক্ষাৎ স্বল্প পরিসরের হলেও তার ব্যাপ্তি যেন বেশি করে পৌঁছয় দর্শকদের হৃদয়ে। আমরা মনে হয় তাতে সফল হয়েছি। নইলে কিয়ারাকে দর্শকরা এত ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারত না'।
নিজের বক্তব্যের শেষে তাঁর সংযোজন, 'এর থেকে বেশি কিছু ছবিতে যোগ করা নিষ্প্রয়োজন ছিল। ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রার প্রেম ছাড়া তাঁর বায়োপিক অসম্পূর্ণ থাকত। তাই একজন যোদ্ধা ও প্রেমিক হিসেবে তাঁর জীবনের এই দুটো ভাগের মাত্রাই আমরা পর্দায় ঠিকঠাক পেশ করতে পেরেছি বলেই বিশ্বাস'।