কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি পদ্ম পুরস্কার প্রাপকদের তালিকা প্রকাশ করেছে। প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী-অভিনেতা বৈজয়ন্তীমালাকে ‘পদ্মবিভূষণ পুরস্কার’-এ ভূষিত করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছার বন্যা। যাতে সামিল হলেন সায়রা বানুও।
এক সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সায়রা বানুকে বলতে শোনা গেল, ‘আমি এটা নিয়ে খুবই খুশি...পুরস্কারটা সত্যিই প্রাপ্য...আমি তাঁর সিনেমা দেখে বড় হয়েছি এবং সে আমার কাছে 'আক্কা' (বড় বোন)।’ তেলেগু অভিনেতা চিরঞ্জীবীও পদ্মবিভূষণে ভূষিত হয়েছেন। এছাড়াও মিঠুন চক্রবর্তী , উষা উথুপ এবং অন্যান্যরা পেয়েছেন পদ্মভূষণ পুরস্কার।
তামিল সিনেমা দিয়ে বৈজয়ন্তীমালা তাঁর অভিনয় জীবন শুরু করেন এবং পরে হিন্দি সিনেমায় চলে আসেন। ধীরে ধীরে দর্শকদের ভালোবাসা তাঁকে ১৯৫০ এবং ১৯৬০-এর দশকের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব করে তোলে। এমন এক সময়ে যখন মীনা কুমারী, মধুবালা, নার্গিস, সুচিত্রা সেন, ওয়াহিদা রহমান, মালা সিনহা এবং নূতনের মতো নায়িকাদের জন্য পাগল ছিল দর্শক।
আরও পড়ুন: ‘ওয়ার’, ‘ব্যাং ব্যাং’-এর থেকেও কম ওপেনিং পেল ‘ফাইটার’! প্রথমদিনের আয় কত কোটি হল
কঠিন প্রতিযোগিতা সত্ত্বেও, তিনি হার মানেননি। নিজের পৃথক পরিচয় তৈরি করেছিলেন দর্শক মনে। যদিও অভিনয় কখনও ছাপিয়ে যেতে পারেনি শাস্ত্রীয় নৃত্যের প্রতি তার আবেগকে। শুরুটা হয়েছিল মাত্র ৭ বছর বয়সে ভ্যাটিক্যান সিটিতে গিয়ে পারফর্ম করে। ব্যতিক্রমী নৃত্য দক্ষতার কারণে, চলচ্চিত্র নির্মাতারা তার অভিনীত সিনেমাগুলিতে রাখতেন একাধিক নাচের দৃশ্য। হাত ও পায়ের মুভমেন্টের কারণে তাঁকে দেওয়া হয়েছিল 'টুইঙ্কল টোজ'।
আরও পড়ুন: ছাঁকনি নিয়ে র্যাম্পে হেঁটে ‘নতুন উরফি’ অনন্যা! বন্ধুর সমর্থনে কী করলেন সুহানা
হিন্দি, তামিল, তেলুগু, তিন ভাষার ছবিতেই দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেছেন। সঙ্গে নাচ চালিয়ে যাচ্ছেন ৯০ ছুঁয়েও। মাসখানেক আগেই তাঁরএকটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যালে। কর্নাটক রাগ সংগীতের তালে নাচতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। যা মন কেড়ে নিয়েছিল নেটপাড়ার। ৭ বছর বয়স থেকে শুরু হয়েছিল যেই সফর, তার জন্য এর চেয়ে বড় সম্মান আর কী বা হতে পারে!