প্রথমবার তাঁদের একসঙ্গে প্রকাশ্যে দেখামাত্রই শুরু হয়েছিল ফিসফাস। এরপরতাঁ দের সম্পর্কের কথা জানাজানি হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছিল অবিরাম ট্রোলিং। কথা হচ্ছে মালাইকা অরোরা এবং অর্জুন কাপুরকে নিয়ে। মালাইকা ও অর্জুনের মধ্যে রয়েছে বয়সের বিরাট ফারাক। অর্জুনের থেকে প্রায় বারো বছরেরবড়ো তিনি। বর্তমানে অর্জুন ৩৫ এবং মালাইকা ৪৭। তবে কোনওদিনই নিজেদের এই বয়সের ফারাককে পাত্তা দেননি এই জুটি। ঠিক যেমন করে পাত্তা দেননি তাঁদের নিন্দুকদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্জুনের সঙ্গে সম্পর্কে থাকার জন্য নেটিজেনদের একাংশ যেমন তাঁকে 'সুযোগসন্ধানী ' বলতে ছাড়েননি তেমন কটাক্ষ করেছেন তাঁর বয় সনিয়েও। তবে এসব তির্যক মন্তব্যের এতদিন কোনও প্রত্যুত্তর দেননি এই জুটি। তবে সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রোলারদের একহাত নিলেন মালাইকা।
সেই সাক্ষাৎকারে করা এক প্রশ্নের জবাবে স্পষ্ট ভাষায় এই মডেল-অভিনেত্রী জানান ভালোবাসার ক্ষেত্রে বয়সটা কোনও ব্যাপারই নয়,ভালোবাসা হয় হৃদয় থেকে,বয়স দেখে নয়। এখানে ইনা থেমে মালাইকার তোপ,' যদি একজন বয়স্ক পুরুষ তুলনামূলক কমবয়সী মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে থাকেন তখন কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায় না। কিন্তু ঠিক একইরকম ভালোবাসার সম্পর্কেয খন মহিলার বয়স পুরুষের তুলনায় বেশি হয়,তখন চারিদিক থেকেই রে-রে করে ছুটে আসে নীতি-পুলিশের দল। শুরু হয়ে যায় ফিসফাস।আমার অবশ্য তাতে কিছুই যায় আসে না!' এই প্রসঙ্গে মালাইকা আরও জানান তাঁর ও অর্জুনের সম্পর্কের ব্যাপারটি তাঁর ছেলে আরহানও মেনে নিয়েছেন। মালাইকার কথায়,তাঁর ছেলেকে তিনি নিজের চিন্তাধারা সততার সঙ্গে বোঝাতে পেরেছে বলেই সে বুঝেছে।
প্রসঙ্গত, নিন্দুকদের মুখে ছাই দিয়ে হামেশাই এই জুটিকে দেখাযায় একসঙ্গে। কখনও ডিনার ডেট তো কখনওবা কোনও হলিডে ডেস্টিনেশনে। একে ওপরের বিভিন্ন পারিবারিক অনুষ্ঠানেও রীতিমত হাত ধরে উপস্থিত থাকেন এই জুটি। পাশাপাশি,সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের সেইসব নানান মিষ্টি মুহূর্তের ছবিও আপলোড করেনমালাইকা-অর্জুন।