বুধবারই খবর এল টেলিভিশন অভিনেত্রী প্রীতি বিশ্বাস মা মতে চলেছেন। চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা তিনি। সামাজিক মাধ্যমে সে খবর শেয়ার করে নেন বালিঝড়ে কাজ করা প্রীতি। রাহুল মজুমদারের সঙ্গে যৌথ বিবৃতি দিয়ে লেখেন, ‘#Prihul পরিবারের প্রিয় সদস্যরা, আমরা ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত যে আমরা সন্তানের জন্ম দিতে চলেছি।’ বনি সেনগুপ্ত, রোহন ভর্টাচার্য, তৃণা সাহা-রা কমেন্ট করে শুভেচ্ছা জানান প্রীতিকে।
২০১৭ সালে ‘রং-রুট’-এর সেটে রাহুল মজুমদারের সঙ্গে প্রথম আলাপ হয়েছিল প্রীতি বিশ্বাসের। সেখান থেকেই বন্ধুত্ব ও প্রেম। ২০২০ সালের ১০ই ফেব্রুয়ারি সাতপাক বাঁধা পড়েন তাঁরা। ২০২৩ সালে মিলেছিল তাঁদের বিয়ে ভাঙার খবর। রাহুল নাকি সহকর্মীর প্রেমে পড়েছেন। তাতেই এসেছে দূরত্ব। তবে দুজনকে নিয়ে ওঠা খবরে কেউই কোনওদিন মুখ খোলেননি। সোশ্যাল মিডিয়ায় আসা তাঁদের ছবি-ভিডিয়ো বুঝিয়েছে সবটাই ছিল রটনা। ২০২৪ সালেই আসছে প্রিহুল জুটির প্রথম সন্তান। প্রীতি নিজেই জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বরে ডেট দিয়েছে ডাক্তার।
কিছুদিন আগেই সিসিএলে জার্নিতে রাহুলকে সঙ্গ দিতে দেখা গিয়েছিল প্রীতিকে। প্রায় প্রতিটা ম্যাচেই হাজির ছিলেন তিনি। রাহুল জানালেন, বউ অন্তঃসত্ত্বা জানার পর থেকে নাকি ক্রিকেট টিমের অনেকেই তাঁকে নানা পরামর্শ দিয়েছেন। বিশেষ করে বেঙ্গল টাইগার্সের ক্যাপ্টেন যিশু সেনগুপ্ত।
আরও পড়ুন: উঠেছিল পরকীয়ার অভিযোগ! বছর পেরোতেই অন্তঃসত্ত্বা রাহুলের প্রীতি, কবে আসছে সন্তান
রাহুল জানালেন টিভিনাইনকে, ‘টিমের অনেকে অনেক টিপস দিয়েছেন আমাকে। আমার থেকে প্রীতির বেশি খেয়াল রেখেছিল যিশু দা। আমাকে যিশুদা বুঝিয়েছে এই সময় মেয়েদের অনেক মুড সুইংস হয়। আমি যেন মাথা ঠান্ডা রাখি। ওকে কোনওভাবে উত্তেজিত না করি। সেই থেকে আমি বোবা। প্রীতি কিছু বললেই, আমি বলছি আমার ভুল।’
আরও পড়ুন: সোহমের সঙ্গে প্রেমচর্চা আগে মানেননি! জন্মদিনে সম্পর্ককে নাম দিলেন শোলাঙ্কি
আর মাত্র কয়েকমাস। তারপরেই কোলে আসবে সন্তান। রাহুলের এখন ভগবানের কাছে একটাই প্রার্থনা, তাঁদের অনাগত সন্তান যেন সুস্থ শরীরে আসে তাঁদের কাছে। সব ঠিক থাকে।
আরও পড়ুন: ‘টাকা খরচ কম হয়…’! সুতির শাড়ি বিক্রি করে বছরে আয় ৬০ কোটি, দাদাগিরিতে অবাক সৌরভ
এদিকে, প্রীতি নিজেও জানিয়েছেন তাঁর খুব খেয়াল রাখছেন রাহুল। তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘রাহুল তো নিজেও বাচ্চাসুলভ। ভাবতেও পারছে না বাবা হবে। তবে অনেক দায়িত্ব নিয়েছে এখন নিজের কাঁধে। আমাকে ওষুধ খাওয়ায় মনে করে। সকালের চা-টা করে দেয়। এমনকী, কিছু খাওয়ার ক্রেভিংস হলে, সেটা জোগার করে দেওয়ার দায়িত্বও ওর।’