কথাতেই আছে, শাড়িতে অপূর্ব নারী। তবে আজকালকার মেয়েদেরমধ্যে শাড়ি পরার চল অনেকখানিই কমে এসেছে। তবে এই শাড়ি, আরও নির্দিষ্ট করে বললে সুতির শাড়ি বিক্রি করেই এক বাঙালি কন্যে বছরে ৬০ কোটি রোজগার করে এক বাঙালি কন্যে। যার দাদাগিরির গল্প শোনা গিয়েছিল জি বাংলার বিখ্যাত রিয়েলিটি শো দাদাগিরিতে।
দাদাগিরিতে এসেছিলেন সুজাতা। বেহালার মেয়ে তিনি। তবে বাবার চাকরির সূত্রে থেকেছেন দেশের নানা রাজ্যে। বর্তমানে মুম্বইতে থেকে ব্যবসা চালাচ্ছেন। তাঁর ব্র্যান্ডের শাড়ির চাহিদা শুধু দেশে নয়, বিদেশেও। বিভিন্ন সিনেমা, ফ্যাশন শো-তেও ব্যবহৃত হয়েছে সুজাতার ফ্যাশন ব্র্যান্ডের কালেকশন।
আরও পড়ুন: সোহমের সঙ্গে প্রেমচর্চা আগে মানেননি! জন্মদিনে সম্পর্ককে নাম দিলেন শোলাঙ্কি
এমন এক লড়াকু মেয়ের গল্প মন ছুঁয়ে নেয় দাদাগিরির সঞ্চালক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। সুজাতা জানান, ‘বর্তমানে ১৭ হাজার তাঁতি কাজ করে তাঁর সঙ্গে, ২৬০ জনের টিম। ৭ বছর আগে শুরু করেছিলেন এই ব্যবসা তিনি আর তাঁর বোন। সুজাতা আর তানিয়া। আর দুজনের নামের আদ্যাক্ষর মিলিয়ে সূতা। অর্থ করলে দাঁড়ায় সুতো।’
আরও পড়ুন: আইপিএলের গেরো, হটে গেল ফুলকি! টপার এল জি থেকে, তবে জগদ্ধাত্রী নয়, চারে জলসা
হঠাৎ কেন সুতির শাড়ির ব্র্যান্ড তৈর্রই ইচ্ছে জাগল মনে, সে প্রশ্ন সৌরভ করলে, সুজাতা জবাব দেন, ‘সুতির শাড়ি সবচেয়ে আরামদায়ক। ওটা হচ্ছে শরীর যা চায়… সিনথেটিকের চলে এসছে এখন। সস্তা। টাকা খরচ কম হয়। মানুষ সুতির শাড়ির মাহাত্ম্য ভুলতে বসেছিল। আমাদের শরীর কিন্তু সুতিই চায়। লোকরা ভুলে গেছিল। একটা ফাঁকা জায়গা ছিল। সেটা পূরণ করতেই, ৭ বছর আগে আমরা উদ্যোগ নেই ছোট্ট পরিসরে। আমি গর্বিত যে, আবার সুতি শাড়ি পরার ট্রেন্ড ফিরিয়ে আনতে আমাদের একটু হলেও যোগদান আছে।’
আরও পড়ুন: আবারও যৌন সুরসুরি! জনি সিন্সের সঙ্গে নতুন বিজ্ঞাপন ‘ক্যামেরায় নগ্ন হওয়া’ রণবীরের
ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ফরেন ট্রেন্ড থেকে এমবিএ করেন সুজাতা। তারপর লম্বা সময় কর্পোরেট অফিসে কাজও করেন। সেই সময়ের কথা উল্লেখ করে এই উদ্যোগপতি জানান, ‘দেখতাম যখন অফিসে শাড়ি পরে যাচ্ছি, সবাই বলত আজ কী কোনও নেমন্তন্ন, বিয়ে বাড়ি গেছিলি, নাকি কোথাও পুজো দিতে গেছিলি। ভাবতাম, এমন তো কিছু না। মায়েরাও তো শাড়ি পরত। হঠাৎ করে কী বদলাল। দেখতাম, অনেকে বলছে, আমরা শাড়ি পরতে পারি না।’
তাতে সৌরভ বলেন, ‘শাড়ি হচ্ছে সবচেয়ে সুন্দর পোশাক।’ সহমত সুজাতা এরপর বলেন, ‘একদমি। তখন ভাবলাম আমার ব্যবসায়ী জ্ঞানকে ব্যবহার করি। আমি আমার বোন কলকাতা এসে তাঁতির বাড়ি যাই, সেটা ২০১৬ সাল। প্রথমে দু জন তাঁতি মাত্র যোগ দিয়েছিল। কিন্তু আমাদের কোনও মিডল ম্যান না থাকা, সঠিক সময়ে ন্যায্য টাকা দেওয়া, এসব দেখে আস্তে আসতে আরও লোক আসতে থাকে আমাদের টিম-এ। আমাদের সঙ্গে কাজ করা ১৭ হাজারের মধ্যে ৬৫ শতাংশই মহিলা’