দ্বিতীয়বার মা হচ্ছেন পপি কিচেন খ্যাত ইউটিউবার। গত অক্টোবরেই সুখবর সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলেন পপি। রান্নার ভিডিয়ো আপলোড করার পাশাপাশি পপির একটি পৃথক ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে, সেখানে নিজের রোজনামচা শেয়ার করেন গ্রাম বাংলার এই জনপ্রিয় গৃহবধূ। মাথায় ঘোমটা টেনে খোলা আকাশের নীচে রান্না করেই এত নাম, যশ, খ্যাতি পপির। তাঁর ফেসবুক ফলোয়ার্স কিংবা ইউটিউবে সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা মাথা ঘোরানো। আরও পড়ুন-দ্বিতীয়বার মা হতে চলেছেন পপি, ঘটা করে হল সাধের অনুষ্ঠান, মেনুতে কী কী ছিল?
আপতত প্রেগন্যান্সির তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছেন পপি চাউলিয়া। ধুমধাম করে মিটেছে সাধের অনুষ্ঠান। তবে মন ভালো নেই পপির। নেপথ্যে সোশ্যাল মিডিয়া। যে সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরে তাঁর এই জনপ্রিয়তা, সেই সমাজ মাধ্যমেই নিজের নামে কুৎসা দেখে চুপ থাকতে পারলেন না পপি। সম্প্রতি এক ইউটিউব চ্যানেলে পপির ভিডিয়োর ক্লিপিংস ব্যবহার করে তাঁকে রোস্ট করা হয়। ট্রোলিং-এর মাথ্রা শালীনতা ছাড়িয়েছে অভিযোগ অনেকের। পপির বরকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা থেকে প্রচারের আলোয় থাকতে নিজের প্রেগন্যান্সিকে হাতিয়ার করছেন পপি, এহেন নানান অভিযোগ। ভ্লগে ‘ন্যাকামি’ করছেন পপি, এমন কথাও শুনতে হয়েছে তাঁকে।
এর জবাবে ভিডিয়ো পোস্ট করে ইউটিউবার জানান, ‘আমি এতক্ষণ চুপ ছিলাম। আমি ভাবছিলাম, খুব কষ্ট পেয়েছি। উনি আমাকে নিয়ে বলেছেন আমি দ্বিতীয়বার মা হতে চলেছি, আমি নাকি ন্যাকামি করছি। আমি বুঝতে পারছি না, প্রথমবার হোক বা দ্বিতীয়বার- মা হওয়ার কষ্ট তো একই থাকে। আর আগে যখন অর্জুন হয়েছিল তখন আমি ইউটিউবে ছিলাম না। গত পাঁচ বছরে আমি অনেক পরিশ্রম করেছি, তারপর এখন মা হচ্ছি…’।
এরপর পপির সংযোজন,'আমি কোনও আদিখ্যেতা করছি না, ন্যাকামিও করছি না। সবার শারীরিক অবস্থা সবসময় সমান থাকে না। আমার শারীরিক পরিস্থিতি কেমন রয়েছে, সেটা আমি, ডাক্তারবাবু এবং আমার পরিবার জানে।'
পপির স্বামী সুরজিৎ চাউলিয়া তাঁর সুরে সুর মিলিয়ে সতর্কবাণী দেন। জানান, প্রয়োজনে সেইসব চ্যানেলের বিরুদ্ধে কপিরাইট স্ট্রাইক দেবেন তিনি, যারা পপির ভিডিয়ো ব্যবহার করছে নিজেদের স্বার্থে। শুধু ভিডিয়ো ব্যবহার করলেই নয়, ইউটিউবের গাইডলাইন অনুসারে থাম্বনিলেও অনুমতি ছাড়া অন্যের মুখ ব্যবহার করলে কপিরাইট স্ট্রাইক দেওয়া যায়, সে কথাও স্মরণ করান তিনি। ফ্যানেরা যদিও পাশে দাঁড়িয়েছে পপির। এক নেটিজেন লেখেন, ‘তুমি কষ্ট পেও না মনে যারা নিন্দুক তারা নিন্দা করবেই , ওসব কানে তুলো না , তুমি সুস্থ থেকো ভালো থেকো... একদম খুশি মনে থাকবে’। অপর একজন লেখেন, ‘মানুষের উন্নতিতে কিছু মুষ্টিমেয় হিংসুটে মানুষ সহ্য করতে পারে না,, সবার কথা ধরতে নেই’।