চলতি সিজনে 'দাদাগিরি'র মঞ্চে একের পর এক চমক। রবিবার দাদাগিরিতে হাজির ছিল বেশ কয়েকজন খুদে প্রতিযোগী। তাদেরই মধ্যে একজনের নাম আহ্নিক। দাদাগিরির মঞ্চে ছোট্ট আহ্নিক-এর ঈশ্বর উপলব্ধির কথা শুনে অবাক হলেন সকলে, এমনকি হতবাক দাদা সৌরভও।
কিন্তু কী এমন কথা বলেছে আহ্নিক?
সে বলে, 'ভগবান যুগে যুগে আবির্ভূত হন। সৃষ্টের পালন আর দুষ্টের দমনের জন্য। ভগবান যখন আসেন, তখন তিনি একা আসেন না, নিয়ে আসেন তাঁর শক্তিকে। যেমন রামায়ণে ভগবান শ্রী রামের সঙ্গে মা সীতা, মহাভারতে শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে শ্রীমতি রাধিকা, ঠিক তেমনই এ যুগে এলেন শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ রূপী ভগবান বিষ্ণু। তাঁর শক্তি আনন্দময়ী, কৃপাময়ী, মহামায়া জগদ্ধাত্রী শ্রী শ্রী মা সারদাদেবীকে নিয়ে। মা সকলের মা, মা মানুষেরও মা, জীবজন্তুরও মা, মা সৎ-এরও মা, অসৎ-এরও মা, মা শরতেরও মা মা আমজাদেও মা। আর মা কোনও পাতানো মা নন, কথার কথা মা নন, বা গুরুপত্নীও নন, তিনি সত্যজননী…।' নাহ, এরপরেও থামেননি আহ্নিক। সে বলে চলল…।
আরও পড়ুন-‘দেবী চোধুরানী’র শ্যুটিং শুরুর আগে তারাপীঠে পুজো দিলেন শ্রাবন্তী
আরও পড়ুন-'পরমপিয়া' এখন আইনত বিবাহিত, গোপন না রেখে এবার নিজেই বিয়ের ছবি দিলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়
ছোট্ট আহ্নিকের এমন ঈশ্বর উপলব্ধি, আধ্যাত্মিকতা শুনে দাদা তখন অবাক হয়ে শুনছেন। সৌরভ জানান, আহ্নিক চট্টোপাধ্যায়ের ডাক নাম 'বিলে'। নামটা কে দিয়ে জানতে চাইলে খুদে প্রতিযোগী জানান, তাঁর বাবার দেওয়া তবে তাঁর পছন্দ করা নাম। তখন সৌরভ জানান, এনাম কিন্তু স্বামী বিবেকানন্দেরও ডাক নাম। আহ্নিক অবশ্য এসবই জানে।
আহ্নিক বড় হয়ে কী হতে চায় জানতে চাইলে সে বলে সে নাকি সন্ন্যাসী হতে চায়। যার কারণও ব্যাখ্যা করে ছোট্ট আহ্নিক। বলে, ‘এই যে সংসারে এত হিংসা, এত অহংকার, অপরাধ এসব আমার ভালো লাগবে না… ’, বলতে না বলতেই সৌরভ তাকে বলেন, ‘তুই সংসারের কী দেখলি! তোর তো দাঁতও ঠিক করে পড়েনি।’ এখানেই শেষ নয়, মানুষের তিনগুন সত্ত্ব, রজ ও তম—র ব্যাখ্যাও দেয় সে। যা শুনে দাদাও বলে বসেন, 'এসব তো দাদাও জানে না। তুই তো দেখছি সত্যিই সন্ন্যাসীর পথেই এগোচ্ছিস…।'
এদিন আহ্নিক জানায় সে ধুতি পড়তে খুব ভালোবাসে, এদিনও সে শোতে ম্যাচিং পাঞ্জাবি আর ধুতি পরেই হাজির হয়েছিল। প্রসঙ্গত, আহ্নিক এই নামের অর্থও নিত্য উপাসনা।