‘দিদি নম্বর ১’-এর মঞ্চে হাজির জনপ্রিয় ইউটিউবার রাজ-টিয়া। মঞ্চে হাজির হয়েই দিদি রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে গল্প আড্ডায় মেতে ওঠেন এই দম্পতি। জানিয়েছেন কীভাবে আমফানের ঝড়ে শুরু হয়েছিল তাঁদের লাভ স্টোরি। গল্প শুনে হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে যায় রচনার।
আমফানের ঝড়ে প্রেম
খুব অল্প বয়সেই বিয়ের করে নেন রাজ-টিয়া। নিজেদের প্রেমের গল্প জানিয়ে টিয়া বলেন আমফানের দিন, ‘ফোনে আমার ১৫ পার্সেন্ট চার্জ ছিল, আর সেই ১৫ পার্সেন্ট চার্জের মধ্যেই রিলেশনে এসে গেলাম। ১৫ মিনিটের মধ্যেই প্রোপোজ হয়ে গেল, ভালোবাসা হয়ে গেল'। শুনে অবাক রচনা বললেন, ‘বাবা তোমাদের তো মনে হচ্ছে আমফানের থেকেই বেশি স্পিড’।
১৫ মিনিটে প্রেম শুরু
টিয়া জানালেন, প্রথমে রাজ একটা ভয়েস মেসেজ পাঠিয়েছিল তাঁকে। ভয়েস মেসেজ শোনার পরই রাজের কণ্ঠ বেশ ‘কিউট’ লেগেছিল টিয়ার। সঙ্গে সঙ্গে বেশ পছন্দ হয়েছিল তাঁর। এরপরই দেরি না করে টিয়া তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, ‘তুমি আবার BF (পড়ুন বয়ফ্রেন্ড) হবে?’ বিন্দুমাত্র দেরি না করে সম্মতি জানিয়েছে রাজও। শুনে হেসে কুটোপাটি রচনা। সঞ্চালিকার মন্তব্য, ‘টিয়ার তখন মনে হচ্ছে, রাজ হচ্ছে কোকিল’। এদিকে টিয়ার ফোনের চার্জ প্রায় শেষ। তাই রাজকে নিজের করে নেওয়ার জন্য, তড়িঘড়ি ফেসবুক পাসওয়ার্ড নিয়ে নেন টিয়া। ৫ মিনিটের মধ্যে সেই পাসওয়ার্ড দিয়েও দেন রাজ।
আরও পড়ুন: ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মন্তব্য করেছেন মুমতাজ, ‘সহকর্মীদের ক্ষতি করিনি..’, পালটা মুখ খুললেন জিনাত
রাজ-টিয়ার প্রথম দেখা
এরপর রাজের ফেসবুক প্রোফাইল হাতে পেয়ে পাসওয়ার্ড বদলে দেন টিয়া। এরপর রাজ পালটা ফোন করে বলেন, তিনি ফেসবুক খুলতে পারছেন না। সঙ্গে সঙ্গে টিয়ার জবাব, ‘আমি পাওয়ার্ড বদলে দিয়েছি। আমার ফোনে চার্জ নেই। আমি যদি চার্জ না দিতে পারি তুমি অন্য কোনও মেয়ের সঙ্গে কথা বলবে তখন!’ এই ঘটনার তিন মাস পর একসঙ্গে পড়তে গিয়ে প্রথম দেখা হয় তাঁদের। রাজ অবশ্য বলেন, টিয়াকে সামনাসামনি দেখে নাকি চিনতেই পারেননি তিনি। ছবিতে আর সামনাসামনি সম্পূর্ণ আলাদা দেখতে।
আরও পড়ুন: লতা দীননাথ মঙ্গেশকর পুরস্কারে সম্মানিত হচ্ছেন অমিতাভ বচ্চন, কেন দেওয়া হয় এই পুরস্কার
রচনা প্রশ্ন, ‘কোন টিয়াকে ভালো লেগেছে রাজের? ছবিরটা না সামনেরটা?' রাজ বলেছেন ছবিরটা। তিনি নাকি সমানে থেকে দেখে চিনতেই পারেননি ‘এটা সেই মেয়ে’। এসব শুনে তো মাথায় হাত টিয়ার। হেসে গড়িয়ে পড়েন রচনা।
তিন বার পালিয়ে বিয়ে
টিয়ার বড় সিক্রেটও ফাঁস করেছেন রাজ। জানিয়েছেন, ও নাকি কামড়ে দেয়। এরপরই টিয়া জানান, সম্পর্কের বয়স যখন ৯ মাস তখন বার বার ঝগড়া হচ্ছে বলে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। তিন বার বিয়ে করেছেন। দুজনেরই বাড়ির লোক মানেনি, তাই ৩ বারই পালিয়ে বিয়ে করেছেন। প্রথমবার করেছেন মন্দিরে, এরপর পরের বার এমনি এমনিই রাস্তায় করে নিয়েছেন। তৃতীয় বারও মানেনি, এরপর চতুর্থ বার বাড়ির লোক দেখেছে এদের যতই আটকানো হোক বার বার বিয়ে করছে, তাই মেনেই নিয়েছে।
শাশুড়ি অবশ্য় রচনাকে সার্টিফিকেট দিয়েছেন, খুব ভালো বৌমা টিয়া। মেয়ে নেই, তাই মেয়ের জায়গায় টিয়া দখল করে নিয়েছে।