1/7 বাগান ভর্তি ফুল, ফল, সবজি হবে, এমন ইচ্ছা অনেকেরই থাকে। তবে সব সময়ই যে ফুলে, ফলে ভরা বাগান পেতে খুব খরচ করতে হয়, তা নয়। ঘরোয়া ফেলনা জিনিস দিতেই আপনার বাগানকে সাজিয়ে তুলতে পারেন অনায়াসে। কম খরচ তো দূরের কথা, খরচা না করেই কিছু পন্থা অবলম্বন করে বাগান ভরিয়ে তোলা যায়।
2/7 যে কলার খোসা বা শাক কেটে নিয়ে তার গোড়ার অংশটি ফেলে দেন প্রায়ই, তা দিয়েই আপনার বাগান হয়ে উঠতে পারে ফুলে ফলে ভরা! এমনকি চায়ের পাতাও দিতে পারেন গাছের যত্নে। দেখে নিন ঘরোয়া কোন কোন জিনিস দিলে আপনার বাগান হবে ভরা!
3/7 কলার খোসা- কলা সামান্য মজে গেলেই বা কালো হয়ে গেলেই তা আর খান না? সেগুলি ফেলবেন না। বরং রেখে দিন গাছের যত্নে। এছাড়াও কলা খেয়ে খোসা বাগানের এক জায়গায় জমিয়ে নিন। বাগানে যে স্থানে আলো আসে, সেখানে কলার খোসা বা মজে যাওয়া কলা ফেলে রেখে দিন। ওপরে দিন মাটি। তিন থেকে পাঁচ দিন পর সেই পচে যাওয়া কলার মাটি গাছে ছড়িয়ে দিন।
4/7 শাকের শেকড়- বাড়িতে যদি শাক রান্না করেন, তাহলে নিশ্চয় তার গোড়ার দিকটি বা শেকড়ওয়ালা অংশ থাকলে তা ছেঁটে ফেলে দেন! সেই অংশটি ফেলবেন না! শাকের গোড়া বা শেকড় যুক্ত অংশটি কলার খোসার মতো করেই কোথাও মাটি খুঁড়ে রেখে দিন। বিশেষত যে জায়গায় সূর্যের আলো পড়ে। এরপর শাকের গোড়া পচে গেলে, সেই মাটি অন্যান্য গাছে ছড়িয়ে দিন।
5/7 নখ: ডেইলি এক্সপ্রেস, হেলপ মি কমপোস্ট-এর তথ্য বলছে, নখ গাছের সার হিসাবে খুব ভালো। ডেইলি এক্সপ্রেস বলছে, ‘কনজারভ এনার্জি ফিউচার’র মতে গাছকে উজ্জিবীত করতে আঙুলের নখ খুব উপকারী। ফলে পরের বার যখন নখ কাটবেন, তখন তা বাগানেই কাটুন , কোনও গাছের গোড়ায়।
7/7 চায়ের পাতা- চায়ের পাতায় থাকে বহু পুষ্টিগুণ। তবে চা ভেজানোর পরই তা গাছের গোড়ায় দিলে সেভাবে কাজ হবে না। একটি জায়গায় সূর্যের আলোতে চা পাতার কিছুটা অংশ রেখে দিন। তা শুকিয়ে গেলে গুঁড়ো করে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে নিন। তবে চা পাতা প্রতিদিন গাছে দিতে হবে না। (এই তথ্য সাধারণ মান্যতা নির্ভর। এর থেকে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন। )